পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও খাবারের প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয়। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানেই সর্দি, কাশি, জ্বরের সময়। মরসুমি সংক্রমণ লেগেই থাকে। ঠান্ডা লেগে গা, হাত, পায়ে ব্যথা নিয়ে বাড়িতে শুয়ে থাকার সমস্যা এই সময়ে ঘরে ঘরে দেখা যায়। সংক্রমণ সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তো কথাই নেই। সারা দিন মুখে তিতকুটে ভাব, কোনও খাবারেই স্বাদ পাওয়া যায় না। এই স্বাদহীন ভাব জ্বরের অন্যতম উপসর্গ। পছন্দের খাবার খেলেও যে কোনও স্বাদ পাওয়া যায় না। এই অরুচি যেন আরও ভয়ানক। মুখের অরুচি কাটাতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খাবারের উপর ভরসা রাখেন। তবে মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে কী কী করতে পারেন?
নুন জলে গার্গেল করুন
জ্বর হলে মুখের স্বাদ যেন হারিয়ে যায়। কমবেশি সকলেই এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এই সময়ে কিছুই যেন খেতে ইচ্ছা করে না। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও খাবারের প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয়। এই সমস্যা মেটাতে রোজ এক বার করে নুন-জলে গার্গেল করতে পারেন। হালকা গরমজলে নুন দিয়ে দিনে দু’বার গার্গেল করুন। নুনের অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ জ্বরের কারণে মুখের ভিতরে জন্ম নেওয়া ব্যাক্টেরিয়াগুলি মেরে ফেলে। সঙ্গে গলাব্যথা থাকলে তা-ও দূর হবে।
সারা দিন মুখে তিতকুটে ভাব, কোনও খাবারেই স্বাদ পাওয়া যায় না। প্রতীকী ছবি।
সব্জির স্যুপ
শীতকালে বাজারে উঠেছে নানা রকম মরসুমি সব্জি। শাকসব্জি মাত্রেই উপকারী। ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ নানা রকম সব্জি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন স্যুপ। মুখের তিতকুটে ভাবও চলে যায় এতে। জ্বর সারাতেও এই স্যুপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্যুপ খেলে গলায় আরামও পাবেন।
অ্যালো ভেরার রস
শীতকালে ত্বকের যত্নে অ্যালো ভেরার মতো উপকারী আর কিছু নেই। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালো ভেরার মুখের রুচি ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন। রোজ সকালে এক বার করে খেতে পারেন অ্যালো ভেরার রস। মুখের রুচি ফিরবে দ্রুত।