নিয়মিত সকালে ধ্যান অভ্যাস করলে কেবল মন মেজাজ ভাল থাকে তাই নয়, একাগ্রতা বাড়ে, সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও আসে। ছবি: সংগৃহীত
মাঝরাতে অনেকের হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়! মনের মধ্যে কেমন যেন অস্বস্তি হতে থাকে। অফিসের শেষ কাজটা ঠিক মতো করেছিলাম তো? মনের মতো কলেজে ভর্তি হতে পারব তো? বাজারের হিসাবটা ঠিক মতো মিলিয়েছিলাম তো? প্রতিনিয়ত এমন হাজারো চিন্তা আমাদের মাথায় ঢেউয়ের মতো উঠছে আর নামছে। অত্যধিক মানসিক চিন্তার দৌলতে আমরা হাসতে ভুলে যাচ্ছি, অল্প কথাতেই উত্তেজিত হয়ে উঠছে মন, শরীরে বাসা বাঁধছে নানা জটিল রোগ, অবসাদে ভুগে ভাবতে হচ্ছে আত্মহননের কথাও। ব্যর্থতার ভয়, লাগামহীন প্রতিযোগিতা, মন অশান্ত করে তোলে। এই অশান্ত মনকে শান্ত করার অন্যতম উপায় ধ্যান। নিয়মিত সকালে ধ্যান অভ্যাস করলে কেবল মন মেজাজ ভাল থাকে তাই নয়, একাগ্রতা বাড়ে, সৃজনশীল চিন্তাভাবনাও আসে।
কোন উপায় ধ্যান করলে মিলবে সুফল?
১) মন্ত্র ধ্যান: সকালবেলা শান্ত পরিবেশে চোখ বন্ধ নিজের পছন্দের মন্ত্র উচচারণ করেও ধ্যান করা যায়। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রের মানে বুঝে জোরে জোরে পড়ুন। মাথায় অন্য কোনও রকম চিন্তা আনবেন না। পা ভাঁজ করে পিঠ সোজা করে বসুন। ভারতীয় সভ্যতার পাশাপাশি পাশ্চাত্য সভ্যতায়েও চিন্তা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তির জন্য ‘মন্ত্র মেডিটেশন’-এর জুড়ি মেলা ভার।
প্রতীকী ছবি
২) ত্রাটক যোগ: নিয়মিত এই যোগ অভ্যাস করলে মনোসংযোগ বাড়ে। মনের মধ্যে কোনও রকম দুঃশ্চিন্তা ও উদ্বেগ চললে এই যোগ অভ্যাস করে সুফল পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘর অন্ধকার করে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। এ বার মাটিতে বসে মোমবাতিটি এমন জায়গায় রাখুন যাতে চোখের দৃষ্টি বরাবর যায়। মন শান্ত করে পদ্মাসনে বসে এক দৃষ্টিতে বাতির দিকে তাকিয়ে থাকুন। প্রয়োজনে চোখের পলক ফেলে বিশ্রাম নিন। এই যোগ চোখের জন্যেও দারুণ উপকারী।
৩) ভিজুয়ালাইজেশন মেডিটেশন: বাড়ির কোনও এক শান্ত পরিবেশে বসে চোখ বন্ধ করে কোনও ভাল ছবি চিন্তা করুন। ভাবুন সঙ্গীর সঙ্গে কোনও সমুদ্রের পাড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন কিংবা পাহাড়ে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন! ভাল চিন্তাভাবনা করলেও মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। তা ছাড়া কোনও ধর্মীয় চিহ্নও চোখ বন্ধ করে দুই ভ্রু-র মাঝে কল্পনা করলেও সুফল পাবেন।