অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের হৃদ্রোগের উপসর্গগুলি পুরুষদের তুলনায় আলাদা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, আমেরিকায় প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে এক জন হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। গত বছর ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে মহিলাদের মধ্যে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের হৃদ্রোগের উপসর্গগুলি পুরুষদের তুলনায় আলাদা হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীর ক্ষেত্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। ঠিক কোন কারণগুলির জন্য মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে হৃদ্রোগ?
১) ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এই সব রোগের কারণে রক্তনালিগুলি সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। রক্ত প্রবাহে বাধা তৈরি হয়। ফলস্বরূপ হৃদ্যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যায়।
২) মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা এবং অবসাদের কারণে অনেক মহিলাই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও কিন্তু ঝুঁকি বাড়ে।
৩) ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের ঋতুবন্ধ হয়। ঋতুবন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ কারণে তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে।