কোন কোন তেলে বজায় থাকবে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইই ছবি: সংগৃহীত
কোলেস্টেরলের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন তাঁদের খাওয়াদাওয়াতে থাকে হাজার রকমের বিধিনিষেধ। বিশেষত স্নেহ পদার্থযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই দস্তুর। ফলে কী তেল খাবেন তা ভেবে পান না অনেকেই। রইল এমন কিছু তেলের সন্ধান যা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা মানুষদের রসনা তৃপ্তিতে আসতে পারে কাজে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। অলিভ অয়েল
জলপাই থেকে নিষ্কাশিত এই তেল, বিশেষত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রসঙ্গত, ভার্জিন অলিভ অয়েল বলতে সেই ধরনের তেলকে বোঝানো হয় যা নিষ্কাশন করতে কোনও ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে ফেনল জাতীয় যৌগের সংখ্যা প্রায় তিরিশটি। এই উপাদানটি একই সঙ্গে প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
২। ক্যানোলা তেল
কানাডায় সর্ষের তেলকে এক বিশেষ উপায়ে পরিশুদ্ধ করে এই তেল তৈরি করা হয়। ক্যানোলা তেলে উপস্থিত সম্পৃক্ত ফ্যাটের পরিমাণ মাত্র ৭ শতাংশ। অলিভ অয়েলের মতো এটিও অসম্পৃক্ত ফ্যাটে পদার্থের সমৃদ্ধ। এই তেল অলিভ অয়েলের তুলনায় আরও বেশি তাপমাত্রায় পোড়ে, তাই উচ্চ উষ্ণতায় রান্না হওয়া পদ ও ভাজাভুজির জন্য এই তেল বিশেষ উপযোগী। তবে স্যালাড জাতীয় খাবারে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
৩। তিসির তেল
গ্রাম বাংলার এক সময় খুবই প্রচলিত ছিল এই তেল। কিন্তু কালের নিয়মে এখন আর বিশেষ জনপ্রিয়তা নেই এই তেলের। অথচ খাদ্যগুণের দিক থেকে এই তেল কিন্তু অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এটি আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতেও এটি অত্যন্ত উপযোগী। তবে এই তেল গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। স্যালাড খেতে যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের জন্য খুব ভাল একটি বিকল্প হতে পারে এই তেল।
তবে মনে রাখবেন প্রত্যেকের শরীর স্বতন্ত্র। কাজেই কোলেস্টেরলের সমস্যার গভীরতাও সমান নয় সবার ক্ষেত্রে, ফলে নিজের জন্য যথোপযুক্ত তেল বেছে নিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।