রোজের রুটিন এ দিক থেকে ও দিক হলেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিনিয়ত বাইরের খাবার খাওয়া, জল কম খাওয়া, শরীরচর্চা না করা— এমন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হজমের গোলমালের নেপথ্যে রয়েছে। গ্যাস-অম্বল এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজের রুটিন এ দিক থেকে ও দিক হলেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। শরীরের প্রতি অবহেলা তো আছেই, সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের একটি বড় কারণ, হজম ঠিকঠাক না হওয়া। এর পিছনেও রয়েছে কয়েকটি কারণ। তার জন্য রোজের জীবনের কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা প্রয়োজন?
দেরি করে খাবার খেলেও হতে পারে এই সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
খাওয়ার পরে স্নান
সময় বাঁচাতে অনেকেই খাওয়ার পরে স্নান করেন। খাওয়ার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে দ্রুত হজম হয়। খেয়ে ওঠার পরের মুহূর্তে স্নান করার পরে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
দুপুরের খাবার খেতে দেরি করা
কী খাচ্ছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কখন খাচ্ছেন। খাওয়ার সময় ঠিক রাখা জরুরি। ওজন কমাতেও মানতে হবে একই নিয়ম। অনেক সময় কাজের চাপ থাকলে খাবার খেতে দেরি হয়ে যায়। অনেক ক্ষণ ধরে পেট ফাঁকা থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে যেতেই শুরু হয় বদহজম। তাই দুপুর ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
রাতে দই খেলে
শীতকালে দই খেলে এমনিতেই ঠান্ডা লাগে। তার উপর রাতে খেলে ঠান্ডা তো লাগবেই, সঙ্গে অম্বলও হতে পারে। দই নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি, বি ১২, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম শরীর ভাল রাখে। তবে রাতে দই খাওয়ার প্রবণতায় বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি।