পরিবেশে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুসফুসের সমস্যাও বেড়ে চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।
হালকা সর্দি আগে থেকেই ছিল। কিন্তু দীপাবলির পর থেকে শুরু হয়েছে খুসখুসে, শুকনো কাশি। মরসুম বদলের সময়ে ঠান্ডা লাগার সমস্যা প্রায় প্রতি ঘরেই দেখা যাচ্ছে। তবে শুধু পারদ পড়েছে বলে নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পরিবেশে দূষণের মাত্রা। ঘর থেকে বাইরে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। সকালে পার্কে হাঁটতে গেলেও চারপাশে ঘিরে ধরছে ‘স্মোগ’-এর আস্তরণ। যাঁদের বহু দিনের পুরনো ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবস্থা শোচনীয়। তবে রাতারাতি পরিবেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও কিছু ভেষজ নিয়মিত খেয়ে ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু বাড়িয়ে তোলা যায়।
কোন তিন ভেষজ শ্বাসযন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে?
১) তুলসী
সর্দি, কাশি নিরাময়ে তুলসী পাতার ব্যবহার নতুন নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধে তুলসী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘আয়ুর্বেদ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন জার্নাল’-এ বলা হয়েছে, নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে যক্ষ্মার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। এই ভেষজের প্রদাহনাশক উপাদান আছে। শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করতে পারে। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সারা বছরই তুলসী পাতা খেতে পারেন।
২) জষ্টিমধু
দূষণজনিত খুসখুসে কাশি নিরাময়ে জষ্টিমধু বেশ কার্যকর। এই ভেষজ প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। ‘অ্যাক্টা ফার্মাকোলজিকা সিনিকা’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, জষ্টিমধুর মধ্যে গ্লাইসিরহিজ়িন নামক এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়, যা একাধারে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক। তাই এই ভেষজটি ফুসফুসের যে কোনও ধরনের সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
৩) হলুদ
হলুদের ঔষধি গুণের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি নানা উপাদান রয়েছে এই ভেষজে। তা ফুসফুসের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এ ছাড়া, হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। অনেকেই বিশ্বাস করেন এই কারকিউমিন ক্যানসার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।