Fibroids

পছন্দের ৩ খাবার কিন্তু ফাইব্রয়েড সংক্রান্ত জটিলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে

শরীরচর্চা, ঘুম তো আছেই। ফাইব্রয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটের উপর নজর রাখাও বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ১৫:৩৫
Share:

ফাইব্রয়েড থাকলে কী কী খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।

দিদিমা, মা, মাসি— সকলেরই ফ্রাইব্রয়েড ছিল। সেই সূত্র ধরে অজান্তেই সেই রোগ হানা দিয়েছে আপনার জরায়ুতে। প্রথম দিকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পরে অতিরিক্ত রক্তপাত এবং পরবর্তী কালে সন্তানধারণে সমস্যা— ফাইব্রয়েড থাকলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়া স্বাভাবিক।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, মূলত তিনটি জায়গায় ফাইব্রয়েড তৈরি হতে পারে। প্রথমত, জরায়ুর দেওয়ালের বাইরের দিকে, যাকে ‘সাবসেরাস’ বলে। দ্বিতীয়ত, জরায়ুর দেওয়ালের মধ্যে, যাকে ‘ইন্ট্রামিউরাল’ বলে এবং তৃতীয়ত জরায়ুর যে অংশ থেকে ঋতুস্রাব হয়, তাকে বলা হয় ‘সাব-মিউকাস’। সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডেই বেশি মহিলা আক্রান্ত হন।

মূলত ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রায় হেরফের হলে ফাইব্রয়েড আকার-আয়তনে বাড়তে থাকে। আর হরমোনের হেরফের হয় সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য। শরীরচর্চা, ঘুম তো আছেই। ফাইব্রয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটের উপর নজর রাখাও বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি খেলে ফাইব্রয়েড সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যেতে পারে। জানেন, সেগুলি কী?

Advertisement

১) প্রক্রিয়াজাত মাংস

সসেজ, সালামির মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য এগুলির মধ্যে কৃত্রিম প্রিজ়ারভেটিভও দেওয়া হয়। এগুলি রোজ খেলে হরমোনের মারাত্মক হেরফের হয়। যা ফাইব্রয়েডের জটিলতা বাড়িয়ে তোলে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বদলে বাড়িতে রান্না করা মাছ, ডিম কিংবা মাংসের পদ খাওয়া যেতে পারে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যেমন ডাল, ছোলা, রাজমা, সয়াবিনেরর মতো খাবারও নিরাপদ।

২) ফ্যাট-যুক্ত দুগ্ধজাত খাবার

ফুল ক্রিম দুধ, ঘি, মাখন কিংবা পনির বেশি খেলেও ফাইব্রয়েড আকার-আয়তনে বেড়ে উঠতে পারে। এই ধরনের খাবারও হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। বদলে ফ্যাট-ফ্রি ডবল টোন্‌ড দুধ, কাঠবাদাম কিংবা সয়াবিনের দুধ খেতে পারেন।

৩) রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট

সাদা রঙের যে কোনও খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ প্রদাহজনিত সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে পরোক্ষ ভাবে ফাইব্রয়েডজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। সুস্থ থাকতে হলে এই ধরনের খাবারের বদলে হোলগ্রেন বা দানাশস্য দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement