নেটমাধ্যমে বা লোকমুখে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা আছে যা ওজন কমাতে আদৌ কাজে আসে না। ছবি: শাটারস্টক।
মাসখানেক পরেই বিয়ে? তবে বিয়ের আগে আত্মীয়-পরিজন আর বন্ধুবান্ধবের দেওয়া আইবুড়ো ভাত খেয়ে ওজন দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে শরীরের আনাচেকানাচে। বৌভাতে লেহঙ্গাটি আদৌ আঁটবে তো? চিন্তায় মাথায় হাত! হাতে যদি মাস খানেক সময় থাকে, তা হলে বিয়ের আগে চার-পাঁচ কেজি ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? ডায়েট থেকে শরীরচর্চা সবই শুরু করেছেন? তবে পন্থাগুলি কাজে দেবে তো?
ওজন ঝরানো নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। নেটমাধ্যমে বা লোকমুখে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা আছে যা ওজন কমাতে আদৌ কাজে আসে না। আপনিও সেই সব নিয়ম মেনে চলছেন না তো? জেনে নিন ওজন ঝরানোর প্রয়াসে কোন কাজগুলি করলে আপনার সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না।
১) খালি পেটে থাকা
দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকলেই যে আপনার ওজন কমবে এই ধারণা ভুল। খালি পেটে থাকলে বিপাক হার কমে যায়। ওজন কমানোর ডায়েটে পরিমাণের উপর নজর দেওয়ার কথা বলা হয়। তাই খালি পেটে না থেকে সময় মতো অল্প অল্প করে খেতে থাকুন।
২) ডায়েটে ঘি বাদ দেওয়া
ঘি খেলেই মারাত্মক ওজন বেড়ে যাবে এই ধারণা অনেকরই আছে। তবে ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ ভাবে ঘি বাদ দিলে ওজন মোটেই কমে না। ওজন ঝরানোর ডায়েটেও পুষ্টিবিদরা পরিমিত মাত্রায় ঘি রাখার কথা বলেন। ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায় ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর।
৩) প্রাতরাশ না করা
অনেকে রাতে আটটার মধ্যে খেয়ে ফেলেন। আবার খান পরের দিন দুপুরে। ভাবেন এতেই কমবে ওজন। তবে এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন ধরে চললে ওজন বাড়ে বই কমে না। সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশে কী থাকছে তার উপর নির্ভর করে সারা দিনের শরীরের হালচাল। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল সকালে ভারী জলখাবার খাওয়া।