সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে হানা দিতে পারে লিভার সিরোসিস। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বজুড়ে ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বা়ড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাপনেও বেশ কিছু বদল এসেছে। এই বদলের হাত ধরেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ। চিকিৎসকেদের মতে, প্রত্যেক লিভারেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। সেই চর্বির মাত্রাতিরিক্ত জমে গেলে, তখনই তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের অসুখ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশির ভাগেরই ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়। ফ্যাটি লিভার মূলক দু’রকমের। অ্যালকোহলিক এবং নন অ্যালকোহলিক। এমসের সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন।
নন অ্যালকোহলিক ফ্যাট জমে সাধারণত খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত তেল, ফ্যাট জাতীয় উপাদানের মাত্রা বেড়ে গেলে। আবার কখনও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বংশগত কারণেও হতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে হানা দিতে পারে লিভার সিরোসিস। মদ্যপানের কারণে এ ধরনের শারীরিক অসুস্থতা বেশ দেখা যায়। তবে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন যে আপনি নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত?
১) ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন? সে ক্ষেত্রে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে এমন হয় মূলত। তাই এমন কোনও অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
২) হঠাৎ করেই খিদে বেড়ে যাওয়ার সমস্যা এর উপসর্গ হতে পারে। মিষ্টি এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। হঠাৎ এমন সমস্যা শুরু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবে না।
৩) নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যতম উপসর্গ হল প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরোতে পারে না। এই কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন এমন হতে থাকলে ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।