ডায়াবিটিস রোগীদের মানতে হবে কী কী নিয়ম? ছবি: সংগৃহীত
এক দিকে নতুন বছরের উদ্যাপন, অন্য দিকে শীতের ছুটিতে চড়ুইভাতি। বর্ষবরণের দিনগুলিতে ভরপেট খাওয়াদাওয়ার আয়োজন অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই ধরনের ভূরিভোজে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ডায়াবিটিসের রোগীদের। এমনিতেই বয়স, ইনসুলিনের পরিমাণ বা অন্য কোনও অসুখ রয়েছে কি না, তা দেখে শুনে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ডায়বিটিস রোগীদের। তাই উৎসবের দিনগুলিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না তার উপর বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ
একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলে পরিজনদের সবচেয়ে পরিচিত আবদারটি হল— ‘একদিন খেলে কিচ্ছু হবে না’। মনে রাখবেন এর চেয়ে বড় বিপদ হতেই পারে না। শরীরে শর্করার পরিমাণ মেপেই মিষ্টি খাওয়া উচিত ডায়বিটিস রোগীদের। শরীরের পক্ষে কিন্তু আলাদা ভাবে বর্ষবরণ চেনা সম্ভব নয়।
২। খান শুকনো ফল
বাদাম, আখরোট, খেজুরের মত শুকনো ফলগুলি খেতেও সুস্বাদু আবার স্বাস্থ্যগত ভাবেও পুষ্টিকর।
৩। প্রচুর জল খান
অনেক ক্ষেত্রেই বারবার মূত্র ত্যাগ করার সমস্যার জন্য জল কম খান ডায়বিটিস রোগীরা। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার মধ্যে শরীরে জলের সঠিক পরিমাণ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
৪। শর্করা এড়িয়ে চলুন
ভাতের বদলে অন্য কিছু খান। বিশেষত ফাইবার যুক্ত খাদ্য বিশেষ উপযোগী। চিঁড়ে, পায়েস খাবেন না। স্যালাদ খেতে পারেন খাওয়ার সঙ্গে, কিন্তু চাটনি খাওয়া চলবে না একেবারে।
৫। ময়দা ও ভাজাভুজি
উৎসবের দিনগুলিতে ময়দা দিয়ে অসংখ্য পদ রান্না হয়ে থাকে। কিন্তু এই পদগুলি ডায়বিটিস রোগীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। একই রকম বিপজ্জনক মুখরোচক তেলেভাজাও। বদলে চেখে দেখতে পারেন জোয়ার বা ওটসের বিভিন্ন পদ।