কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাওয়াদাওয়ায় বড়সড় একটা পরিবর্তন আনতে হয়। প্রতীকী ছবি।
তাড়াতাড়ি অফিস পৌঁছবেন বলে অনেকেই আগের রাতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। সময় মতো ঘুম থেকে উঠেও পড়েন। কিন্তু দেরি হয়ে যায় স্নানঘরে ঢুকলেই। অর্ধেক সময় চলে যায় সেখানেই। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের শিকার, এই সমস্যা তাঁরা মর্মে মর্মে অনুভব করতে পারবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাওয়াদাওয়ায় বড়সড় একটা পরিবর্তন আনতে হয়। কারণ এই রোগে চাইলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। তাতে সমস্যা দ্বিগুণ হয়। বরং এমন কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা, যেগুলি পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসব্জি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না, কী খাবেন আর কী খাবেন না। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে পেঁপে এবং কুমড়ো খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এত বিকল্প থাকতে এই দু’টি সব্জির উপরেই কেন বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে?
পেঁপেতে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ডায়েটারি ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হতে পারে। এ ছাড়াও পেঁপেতে থাকা ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচক পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। পেঁপেতে জলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। পেঁপেতে ফাইবার যে হেতু উচ্চ মাত্রায় থাকে, তাই ডায়াবেটিকদের জন্যেও পেঁপে বেশ উপকারী। পেঁপেতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ২৭ গ্রাম। ফলে হার্টের রোগের ঝুঁকি এড়াতেও পেঁপে কার্যকরী।
পেঁপের পাশাপাশি কুমড়োও সমান উপকারী কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য। এই সব্জিতে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার এবং ভরপুর পরিমাণে জল। শরীরে জলের ঘাটতি দূর করা থেকে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা— কুমড়ো খুবই স্বাস্থ্যকর একটি সব্জি। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অনায়াসে রোজের পাতে কুমড়ো রাখতে পারেন। কিছুটা হলেও সুফল পাবেন।