যোগাসন করলে শরীরের অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
মানুষের শরীরে রক্ত তরল আকারে বয়ে চলে। কোনও কারণে কেটে গেল, কিছু ক্ষণ পর ওই কাটা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় ১ থেকে ১২ ফ্যাক্টর প্রোটিন কাজ করে। এ ছাড়াও আরও অনেক প্রোটিন আছে। এদের কোনওটির অভাবে রক্তক্ষরণের মতো রোগ হতে পারে। যাকে বলে ‘ব্লিডিং ডিসঅর্ডার’। এ অসুখে আক্রান্তদের শরীরে কোথাও জমাট কেটে গেল কিছু ক্ষণ পর ক্ষত জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে না, রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সাধারণত রক্তে ‘অ্যান্টি হিমোফিলিক গ্লোবিউলিন’ না থাকলে মানুষ হিমোফিলিয়ার শিকার হন। এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জীবনযাপন করা প্রয়োজন। তবে হিমোফিলিয়ার রোগীদের নিয়মিত যোগাসন, প্রাণায়াম করাটা জরুরি। যোগাসন করলে শরীরের অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হিমোফিলিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে পরিশ্রমসাধ্য কোনও যোগাসন বা শরীরচর্চা না করাই ভাল।
বজ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
হিমোফিলিয়ার সমস্যায় ভাল থাকতে নিয়মিত কোন যোগাসনগুলি করবেন?
১) বজ্রাসন: এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাত দুটো উরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
২) পশ্চিমোত্তানাসন: এই আসনটি করতে প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক উরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
৩) বালাসন: বলা হয়, যোগাভ্যাসের সবচেয়ে আরামদায়ক একটি আসন। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘চাইল্ড’স পোজ’। এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দুটি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কয়েক মুহূর্ত এটা করার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন।