১৭-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে মূলত পিসিওসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। প্রতীকী ছবি।
জীবনধারায় নানা বদলের কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ‘পিসিওস’-এর সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, ভারতে ২০ শতাংশের বেশি মহিলা এই রোগে আক্রান্ত। পিসিওস খুবই জটিল সমস্যা। এই অসুখে সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। চুল পড়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি— পিসিওস ধরা পড়লে এই উপসর্গগুলি দেখা দিতে থাকে। ১৭-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে মূলত পিসিওসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।
পিসিওসের সমস্যা সহজে কাবু করা যায় না। এটা ঠিক। তেমনই এই রোগ একেবারে নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে নয়। জীবনধারায় একটু বদল আনলে ঠেকানো যাবে এই রোগ। জীবনযাপনে রাশ টানার পাশাপাশি এই রোগ সামলাতে খাওয়াদাওয়াতেও দিতে হবে সমান নজর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পিসিওএস থাকলে ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করতেই হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি হেঁশেলের কিছু মশলাও এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি মশলার সুলুক সন্ধান।
মৌরি
পিসিওস থাকলে নারী শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে মহিলাদের গোঁফের রেখা গাঢ় হতে থাকে। একে ‘হিরসুটিজম’বলে। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে মৌরি দারুণ কার্যকরী। আগের দিন রাতে ১ চা চামচ মৌরির ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ৩-৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। খাওয়ার আগে ছেঁকে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই পানীয় খাওয়ার অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।
‘হিরসুটিজম’-এর সমস্যা থেকে দূরে থাকতে মৌরি দারুণ কার্যকরী। ছবি: সংগৃহীত
গোলমরিচ
পিসিওএস থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। পিসিওএসের কারণে বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কী ভাবে খাবেন গোলমরিচ? সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ চামচ মধুর সঙ্গে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। সুফল মিলবে অল্প দিনেই।
মেথি
পিসিওএসের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবিটিস। মেথি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও শরীরের হরমোনগুলিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই বীজ। শরীরে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদনে ভারসাম্য রাখতে মেথি দারুণ সাহায্য করে। ১ চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ৫ মিনিট মতো ফুটিয়ে নিন। মেথির জলে চুমুক দেওয়ার আগে এক বার ছেঁকে নিন।