মিষ্টি খাওয়া ছাড়তেই পারছেন না, চিন্তা নেই বিকল্প উপায় আছে। ছবি: ফ্রিপিক।
শীতকালে জল খাওয়া এমনিতেই কমে যায়। তার উপর মিষ্টি দেখলেই লোভ সামলানো যায় না। শীতের সময়ে নানা রকম পিঠে-পুলি, গুড়ের মিষ্টির লোভ সামলানো সত্যিই কষ্টকর। আর যাঁরা মিষ্টিপ্রেমী তাঁদের তো কথাই নেই। যদিও বা মনের জোরে মিষ্টি-চকোলেট-আইসক্রিম ছেড়েও দেন, তবুও চায়ে চিনি দেওয়া বা সকাল-বিকেল রকমারি কেক-বিস্কুট খেয়ে ফেলা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া বেশ কঠিন। তবে মিষ্টির প্রতি আসক্তি কমানোর কিছু উপায়ও আছে।
শীতে শরীরে জলশূন্যতা বাড়ে অনেকেরই। কম জল খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বলের সমস্যাও দেখা দেয়। তার উপরে বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেললে তা আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসকেরা বলেন, রোজের ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। তখন যত ক্ষণ না পর্যন্ত মিষ্টি খাচ্ছেন, স্বস্তি হবে না। ঘুম কম হওয়ার কারণেও এমন হতে পারে। বেশি রাত জাগলে, অনিদ্রার সমস্যা থাকলে শরীরে লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ফলে বেশি ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বাড়ে।
মিষ্টি খাওয়ার লোভ সামলাবেন কী উপায়ে?
মিষ্টি যে একেবারেই বাদ দিতে হবে তা নয়। যে দিন কেক অথবা পায়েস বা পিঠে খেলেন, সে দিন আর অন্য মিষ্টি খাবেন না। ভাজাভুজি তো নয়ই। রোজ মিষ্টি না খেয়ে সপ্তাহে এক দিন বা দু’দিন পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন।
হাতের কাছে রেখে দিন শুকনো ফল, বাদাম, দই। মিষ্টি খেতে মন চাইলেই এই বিকল্প খাবারগুলি খেয়ে দেখতে পারেন। বিশেষ করে দই ও বাদাম খেলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।
দুধ জ্বাল দিয়ে ছানা কাটিয়ে নিন। তার পর ছানাটা খুব মিহি করে মেখে তাতে মধু মিশিয়ে খেতে ভাল লাগবে। দোকান থেকে কেনা মিষ্টির বদলে বাড়িতে এই ভাবে খেয়ে দেখতে পারেন। ছানা ও মধুর সঙ্গে কিছু ড্রাই ফ্রুট্স মিশিয়ে খেলে সন্দেশের মতোই মনে হবে।
কাঠবাদাম ও খেজুর একসঙ্গে পিষে নিয়ে মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। জমে গেলে সেটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে খেতে পারেন। মিষ্টির বিকল্প হিসেবে মন্দ লাগবে না।
মিষ্টি খেতে সাধ জাগলে স্ট্রবেরি, কমলালেবু, আঙুর বা মুসম্বির মতো ফল খান। তা হলে চিনি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে।