ফল খেয়েও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রোটিন হল সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। আর সেই চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে মাছ, মাংস, ডিমের মতো আমিষ খাবারে। আমিষভোজীদের ক্ষেত্রে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি নিয়ে ভাবনার দরকার পড়ে না। যে কোনও প্রাণীজ খাবারেই কমবেশি প্রোটিন থাকেই। কিন্তু জানেন কি প্রোটিন থাকে ফলেও! তাই নিরামিষভোজীদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুঁজে হয়রান হওয়ার দরকার নেই। কিছু ফল নিয়মিত খেলেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হবে না। মাছ, মাংসের বদলে কোন ফলগুলি খেলে শরীরে প্রোটিনের শূন্যস্থান পূরণ হবে?
কাঁঠাল
এখন যদিও কাঁঠালের মরসুম নয়, তবু জেনে রাখতে ক্ষতি নেই। এক কাপ কাঁঠালে ৩ গ্রাম মতো প্রোটিন থাকে। এটা ঠিক যে প্রোটিনের পরিমাণে কাঁঠাল, মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না। তবু বিকল্পের হদিস জেনে রাখা জরুরি। কাঁঠালে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি-ও রয়েছে।
কলা
কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আরও নানা ধরনের উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিনও। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১.১ গ্রাম প্রোটিন। কলা প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারে।
আঙুর
আঙুর ফল শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ। পায়েস হোক বা পোলাও, কিশমিশ দিতেই হবে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশের মধ্যে থাকে ৩ গ্রাম প্রোটিন। রোজ কিশমিশ খাওয়া হয় না। তবে মাঝেমাঝে খেলেই প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
খেজুর
চাটনিতে খেজুর এক জনপ্রিয় উপকরণ। খেজুর চাটনির স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে এই খেজুরের প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে ২.৪৫ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়াও থাকে ৮ গ্রাম ফাইবার।
পেয়ারা
পেয়ারা যেমন সুস্বাদু ফল, তেমনই উপকারী। পেয়ারার রস বা জ্যামও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি।