চকোলেট খেয়ে ওজন কমান। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বাড়বে না মন ভরে চকোলেট খেলেও। এমনও কি সম্ভব? চকোলেটের দোষ যেমন আছে, গুণেরও শেষ নেই। এতে থাকা উদ্ভিজ্জ ফ্ল্যাভোনয়েড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরেও জন্য বিশেষ কার্যকর। ফ্রি র্যাডিক্যালসের মাত্রা যেমন এতে নিয়ন্ত্রিত থাকে, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাই চকোলেট ঠাঁই পেয়েছে ‘সুপারফুড’-এর তালিকায়। এই চকোলেটেই থাকে প্রচুর চিনি ও ফ্যাট বাড়ানোর মতো নানা উপাদান। আর তার পুষ্টিগুণও খুব একটা থাকে না। তাই ডায়েট থেকে সহজেই বাদ পড়ে চকোলেট। তবে পুষ্টিবিদ অচিন্ত্য সরকার জানাচ্ছেন, চকোলেট খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন। বাড়তি ওজন তো হবেই না, বরং নিয়ম মেনে খেলে স্ট্রেস কমবে। কী ভাবে?
পুষ্টিবিদ বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে সাধারণ চকোলেটের চেয়ে ডার্ক চকোলেটই শরীরের জন্য ভাল। তাই চকোলেট খাওয়ার আগে দেখে নিন, তা ৭০-৮০ ভাগ কোকোমুক্ত কি না। তার মানে এই নয় যে মিল্ক চকোলেট খেতে হবে, বরং কোন কোন ডার্ক চকোলেটে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা দেখেও চকোলেট খেতে পারেন। দিনে তিন-চার টুকরো ডার্ক চকোলেটে ক্ষতি তো নেই, উল্টে লাভ হয় অনেকটা।’’
তবে, দিনে ৪০-৫০ গ্রামের বেশি চকোলেট না খাওয়াই ভাল। শরীরে ১৫০-২০০ ক্যালোরির বেশি এই খাবার থেকে প্রবেশ করতে দেবেন না। তবে যদি একান্তই একটু বেশি খেয়ে ফেলেন, তা হলে পরের দিন শরীরচর্চার জন্য অন্য দিনের চেয়ে আধ ঘণ্টা বেশি সময় দিন। সাঁতার কাটুন অতিরিক্ত ১৫ মিনিট। সাইকেল চালানোর অভ্যাস থাকলে সে দিন অন্য দিনের তুলনায় মিনিট ২০ বেশি সাইকেল চালান বা হাঁটুন। অনেকটা চকোলেট খেয়ে ফেলার পরের দিনের ডায়েট থেকে বাদ দিন ফ্যাটজাতীয় সব খাবার। সে দিনের ডায়েটে রাখুন স্যালাড ও প্রোটিন। সময়ে খান ও সময়ে ঘুমোন। বেশি খাওয়াদাওয়া হলে এই নিয়ম মানতেই হবে।