Green Tea and Brain Health

গ্রিন টি মন ভাল রাখে, স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমায়! দিনে কত কাপ খেলে উপকার হবে?

‘নেচার’ বিজ্ঞানপত্রিকার অন্তর্গত ‘এনপিজে সায়েন্স অফ ফুড’ জার্নালে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা দাবি করেছেন, গ্রিন টি খেলে অবসাদের ঝুঁকি কমে। মানসিক ও স্নায়বিক রোগের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৬
Share:

কত কাপ গ্রিন টি খাওয়া স্বাস্থ্যকর? ছবি: ফ্রিপিক।

গ্রিন টি খেলে কেবল ওজন কমে তাই নয়, মনও ভাল থাকে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গ্রিন টি-র বড় ভূমিকা রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকেরা। ‘নেচার’ বিজ্ঞানপত্রিকার অন্তর্গত ‘এনপিজে সায়েন্স অফ ফুড’ জার্নালে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা দাবি করেছেন, গ্রিন টি খেলে অবসাদের ঝুঁকি কমে। মানসিক ও স্নায়বিক রোগের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।

Advertisement

দীর্ঘকালীন অবসাদ থেকে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশ হতে দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, অবসাদ বাড়তে থাকলে তার থেকে অ্যালঝাইমার্সের লক্ষণ দেখা দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়। বয়সজনিত কারণেই যে সব সময়ে ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তা নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চেনা মুখ, নিজের জিনিস, সহজ কথা মনে রাখতে না পারার নেপথ্যে রয়েছে অ্যালঝাইমার্স। অবসাদ যদি দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকে এবং সঠিক চিকিৎসা না হয়, তখন ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে মস্তিষ্কে প্রদাহ বাড়তে থাকে। তখন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। গ্রিন টি এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও কমিয়ে দিতে পারে।

‘আমেরিকান ব্রেন ফাউন্ডেশন’-এর তথ্য অনুযায়ী, দিনে যদি কেউ ৬০০ মিলিলিটার অর্থাৎ চার কাপের মতো গ্রিন টি খান, তা হলে তাঁর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। আর রয়েছে ‘ইজিসিজি’ নামে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, চার কাপ না হলেও চিনি ছাড়া দিনে ৩ কাপের মতো গ্রিন টি খেলেও উপকার হবে। তবে গ্রিন টি খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। দুটি মিলের মাঝেই খেতে হবে।

Advertisement

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। গবেষণা বা সমীক্ষার ফল যা-ই হোক না কেন তা সকলের শরীরে একইরকম প্রভাব না-ও ফেলতে পারে। তাই কোনও কিছু খাওয়ার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement