বর্ষায় ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগের ঝুঁকি এড়াতে ডায়েটে কী রাখবেন?
সকালের প্রাতরাশে হোক কিংবা দুপুরের পরে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাদ্যতালিকায় পেঁপে থাকেই। পেঁপে খাওয়ার সময় তার বীজ ফেলে দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু জানেন কি পেঁপের বীজের কত স্বাস্থ্যগুণ? পেঁপের বীজ ভিটামিনে ভরপুর। এতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো জরুরি খনিজ উপাদান। এতে ভরপুর মাত্রায় ফ্ল্যাভোনয়েডের থাকে, যা হজমশক্তি বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
কেন এই বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
১) পেঁপের বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক, যা দেহে বাসা বাঁধা নানা ক্ষতিকর জীবাণুকে নাশ করে। পাশাপাশি, এই বীজ ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ উপকারী এই বীজ।
২) বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই বীজ খুব উপকারী।
প্রতীকী ছবি।
৩) বর্ষা মানেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হলেই অণুচক্রিকা কমতে শুরু করে। এই সময় নিয়মিত পেঁপের বীজ এবং পেঁপে পাতা খেলে অণুচক্রিকা আবার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
৪) ঋতুস্রাবের সময় কি অসহ্য যন্ত্রণা হয় আপনার? ঋতুস্রাব চলাকালীন পেঁপে বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। ব্যথা অনেক কম হবে।
৫) পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পরিপাক ক্রিয়া ভাল হয়। হজমের সমস্যা থাকলে এই ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতেই পারেন। হজমশক্তি ভাল হলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৬) সাধারণত পেঁপের বীজ প্রদাহ কমাতে কার্যকর। পেঁপের বীজ ভিটামিন সি, অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। এই সব উপাদান আর্থ্রাইটিস বা প্রদাহের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন?
পেঁপে খাওয়া আগে বীজগুলি ফেলে না দিয়ে সেগুলি একটা পাত্রে সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নিন। এ বার সেই বীজগুলি গুঁড়ো করে একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এই বীজের স্বাদ তেতো হয়। যে কোনও স্যালাড কিংবা স্মুদি বানানোর সময় এই গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন, পুষ্টিগুণও পাবেন আর তেতোও লাগবে না।