এঁচোড় কতটা উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মকাল মানেই বাজার ছেঁয়ে থাকে হরেক রকমের সব্জিতে। সেসব দিয়ে বাড়িতে নিত্যনতুন রান্নাও হয়। তবে গরম যতই পড়ুক, এঁচোড় চিংড়ির স্বাদ না নিলে বাঙালির রসনা তৃপ্তি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ঠিক করে তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে রাঁধলে এঁচোড় স্বাদে মাংসের সঙ্গে পাল্লা দেয়। সারা বছর এঁচোড় পাওয়া যায় না। তাই গরম পড়তেই বাঙালি হেঁশেলে ‘নিরামিষ মাংস’ প্রায়ই দিন রাঁধা হয়। তবে এঁচোড় স্বাদে মুগ্ধ করা ছাড়াও শরীরেরও খেয়াল রাখে। বিশেষ করে চোখের। চিকিৎসকেরা বলেন, চোখের জন্য এঁচোড় উপকারী। কিন্তু চোখের জন্য কেন এত উপকারী এঁচোড়?
১) এঁচো়ড়ে আছে ভিটামিন এ। যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দিনের বেশির ভাগ সময়ে চোখ থাকে ল্যাপটপ, মোবাইলের পর্দায়। যন্ত্রের নীল আলো চোখের ক্ষতি করে। চোখ সুরক্ষিত রাখতে শুধু ড্রপ ব্যবহার করলে চলবে না, এঁচোড়ও খেতে হবে। এঁচোড়ে থাকা ভিটামিন এ চোখের কোনও সমস্যা হতে দেয় না।
২) রেটিনা সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে এঁচোড় খেতে পারেন। অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি এঁচোড়ে রয়েছে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন চোখের সুরক্ষা প্রদান করে। কঠিন কোনও রোগের ঝুঁকি কমায়।
৩) কাঁঠালে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম থাকে। তা হাড় মজবুত রাখে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক অবসাদের কারণে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। কাঁঠাল কিন্তু এই সমস্যা দূর করতে পারে। এই ফলে ভাল মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে। তা স্নায়ুগুলিকে শান্ত রাখে। ফলে ঘুম ভাল হয়।
৫) কাঁঠাল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। বিপাক হার বাড়াতেও এই ফল বেশ উপকারী। এই ফল খেলে তাই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।