ক্র্যানবেরি খাওয়ার পর বিপাক হার বৃদ্ধি পায়, তাই কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। ছবি: সংগৃহীত
খাদ্যতালিকায় ক্র্যানবেরি থাকলে আপনার হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটা কম, ‘ফুড অ্যান্ড ফাংশন’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে এমনটাই বলা হয়েছে। ৪৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, যাঁরা এক মাস নিয়মিত ৯ গ্রাম ক্র্যানবেরি গুঁড়ো খেয়েছেন, তাঁদের কার্ডিওভ্যাসকুলার স্বাস্থ্যে উন্নতি হয়েছে। উল্লেখ্য, গবেষণা পত্র অনুযায়ী, ৯ গ্রাম ক্র্যানবেরি গুঁড়ো ১০০ গ্রাম তাজা ক্র্যানবেরির সমতুল্য। ক্র্যানবেরি খেলে রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ে, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে বলে দাবি গবেষণার।
ক্র্যানবেরি খাওয়ার পর বিপাক হারও বৃদ্ধি পায়, তাই কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যদি তাজা ফল নাও পাওয়া যায়, ক্র্যানবেরি শুকিয়ে তার গুঁড়ো খেলেও হৃদ্রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। এতে রক্তবাহিকাগুলি প্রসস্থ হয়, রক্তের প্রবাহমান বাড়ে। ফলে ভাল থাকে হৃদ্যন্ত্র।
প্রতীকী ছবি
হৃদ্যন্ত্রের পক্ষে আর কোন কোন ধরনের ফল উপকারী?
যে কোনও ধরনের বেরি, যেমন ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই ভাল।
অ্যাভোকাডো
খেতে খুব একটা ভাল না লাগলেও, অ্যাভোকাডোর উপকারিতা অপরিসীম। এই ফল হৃদ্রোগ সারিয়ে তুলতে দারুণ উপকারী। পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পন্ন এই ফল হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখে।
আমন্ড, আখরোট
আমন্ড ও আখরোট হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা মোটাতে খুবই উপকারী। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এই শুকনো ফলগুলি সাহায্য করে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকবে।
বেদানা
শরীরে আয়রনের জোগান দিয়ে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ও রক্ত শোধন করতে বিশেষ সাহায্য করে বেদানা। এর মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল নামের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ধমনীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ত্রণে থাকে ফলে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকে।