Soaked Raisins or Soaked Almonds

কিশমিশ না কি কাঠবাদাম, কোনটি ভিজিয়ে খেলে ডায়েট না করেও ওজন কমবে?

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনটি বেশি উপকারী, ভেজানো কাঠবাদাম না কি ভেজানো কিশমিশ? কী বলছে গবেষণা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৮
Share:

কোনটি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।

জলে ভেজানো খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ কথা ঠিক। সেই কারণে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে ভেজানো বাদাম, ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাতে শরীরও পুষ্টি আবার, আবার পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভরতি থাকে। বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। কাঠবাদাম এবং কিশমিশ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী দু’টি ড্রাই ফ্রুটস। শুধু তো ওজন কমানো নয়, শরীরের সার্বিক উন্নতিতেও এই দুই ড্রাই ফ্রুটসের ভূমিকা রয়েছে। ‘জার্নাল অফ ওবেসিটি অ্যান্ট মেটাবলিক সিনড্রোম’-এর গবেষণা জানাচ্ছে, কাঠবাদাম দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখে। আবার ডায়াবেটিকদের জন্য কিশমিশ মিষ্টির স্বাস্থ্যকর বিকল্প। কিশমিশ গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কোনটি বেশি উপকারী ভেজানো কাঠবাদাম না কি ভেজানো কিশমিশ?

Advertisement

হজমে সাহায্য করে

কাঁচা কাঠবাদামের থেকে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম অনেক সহজে হজম হয়। কঠাবাদাম অন্য খাবার হজম করতে সহায়তা করে। হজমের সহায়ক উৎসচেকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে কাঠবাদাম।

Advertisement

ওজন কমাতে

কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে এ থেকে লাইপেস নামক একটি উপাদান নির্গত হয়। ভেজানো কাঠবাদাম হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে জমে থাকা সহজেই ঝরে যায় কাঠবাদামের গুণে।

পুষ্টি উপাদান শোষণে

কাঠবাদামে ফাইটিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান থাকে। কাঠবাদামে থাকা জিঙ্ক এবং আয়রন শরীর শোষণ করতে গেলে এই ফাইটিক অ্যাসিড বাধার সৃষ্টি করে। ফলে এই দুই পদার্থের পুরোপুরি ব্যবহার হয় না। কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে ফাইটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের পুষ্টিগুণ শোষণ করতে কোনও সমস্যা নেই।

ভেজানো কিশমিশ কী ভাবে যত্ন নেয় শরীরের?

হার্টের যত্ন নেয়

ভেজানো কিশমিশ হার্টের খেয়াল রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। রক্তচাপ বশে থাকলেই হার্ট ভাল থাকে। তা ছাড়া, কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশ ভাল বিকল্প হতে পারে। কিশমিশে রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে গেলে ওজন বশে রাখাও অনেক সহজ হয়ে যাবে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে

সারা দিন ল্যাপটপের কাজ করার ফলে চোখের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময়ে কাজ শেষ করার পর চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, চোখ জ্বালা করে। কিশমিশ কিন্তু চোখের যত্ন নেয়। এ ছা়ড়া, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষরণ কমাতেও খেতে পারেন ভেজানো কিশমিশ

দেখা যাচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশ এবং কাঠবাদাম দুই-ই সাহায্য করে। উপকারিতার দৌ়ড়ে কিশমিশ এবং কাঠবাদাম দু’টিরই পাল্লা ভারী। তাই দ্রুত ওজন কমাতে দু’টোই খেতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement