ওজন বশে রাখতে গিয়ে মিষ্টি বাদ দিতে হবে না। দোলে মিষ্টিমুখ করতে বেছে নিন সুনয়না রোশনের পন্থা। ছবি:ফ্রিপিক।
সামনেই দোল। উৎসবের আবহে মিষ্টিমুখ, খাওয়াদাওয়া না করলে যে আনন্দটাই মাটি! কিন্তু পণ করেছেন, ওজন কমাতেই হবে। সে কারণে বাদ চিনি, ভাজাভুজি।
চাইলে লাড্ডু, চাট খেয়েও কিন্তু রঙের উৎসব পালন করতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনাকে পথ দেখাতে পারেন অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের বোন সুনয়না।
পছন্দের খাবারের উপকরণ বদলে মেদ ঝরিয়েছেন সুনয়না রোশন। ছবি: আনন্দবাজার ডট কম
গোলগাল চেহারার মানুষটি এখন ছিপছিপে। ৫০ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। সুনয়না জানিয়েছেন, তাঁর এই ভোলবদলের পিছনে কেবল সুন্দর দেখতে লাগাই একমাত্র কারণ ছিল না, সার্ভাইকাল ক্যানসার, জন্ডিসের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও তাঁর এই পদক্ষেপ।
তবে বিষয়টি হল পছন্দের খাবার মিষ্টি, ভাজাভুজি, চাট কোনওটাই ছেড়ে দেননি তিনি। শুধু বদলে ফেলেছেন খাবারের উপকরণ। আর তাতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যলাভ সম্ভব হয়েছে। সুনয়নার পন্থা আপনিও মেনে দেখতে পারেন।
মোতিচুর, বেসনের লাড্ডু খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে ওজন বশে রাখতে চাইলে লাড্ডু খেতে হবে অন্য ভাবে। সুনয়না চিনি ছাড়া খেজুর, বিভিন্ন রকম ড্রাই ফ্রুটস (কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম) এবং রাগি দিয়ে লাড্ডু খেয়েছেন ডায়েট চলাকালীন। শুধু তা-ই নয়, হৃত্বিক-সহোদরা বলছেন, যেমন ভাবে পাপড়ি বা দই চাট খাওয়া হয় সে ভাবেই চাট খেতে পারেন। শুধু পাপড়ি বা ভাজা কোনও কিছুর বদলে বেছে নিতে পারেন ঘিয়ে নেড়েচেড়ে নেওয়া মাখানা। একই ভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুর চিপ্স-ও খাওয়া যায়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্য আলু লম্বা করে কেটে সেটি সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার পর এয়ারফ্রায়ারে দিলেই হবে বা বেক করে নিতে হবে। একই উপায়ে তৈরি করা যাবে স্বাস্থ্যকর চিপ্সও।
সুনয়না এক সাক্ষাৎকারে আগেই জানিয়েছিলেন, কী ভাবে অস্বাস্থ্যকর ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার বাইরের খাবার ছেড়ে তিনি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফ্র্যাঙ্কি খেয়েছি রাগির রুটি দিয়ে। নিরামিষাশী বলে পুর হিসাবে রুটির ভিতরে রাখতাম গ্রিল করা রকমারি সব্জি।’’ তাঁর পরামর্শ, কেউ আমিষ খেলে সব্জির বদলে মুরগির মাংস দিতে পারেন। সস্ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন জল ঝরানো টক দই।