খুদের শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
রোদ থাকুক বা ভ্যাপসা গরম। খেলা পেলে আর কী চাই শিশুদের! দিনভর লাফালাফি, দৌরাত্ম্য। ঘেমে-নেয়ে একশা হলেও হুঁশ থাকে না তাদের। কিন্তু, তাদের জল খাওয়ায় কার সাধ্যি! খেলেও তাদের ঝোঁক চিনি মেশানো রকমারি রঙিন পানীয়ে, যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এ দিকে, ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল ও নুন বেরিয়ে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। দেখা দিতে পারে জলের ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন।
তেষ্টা পেলে মানুষ জল খায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, তেষ্টা ছাড়াও জল না খেলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য জলের প্রয়োজন।জল কমে গেলে তাই শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
জলের ঘাটতি হলে সমস্যা
গলা-মুখ শুকিয়ে যেতে পারে।
মাথাব্যথা হতে পারে।
প্রস্রাব কমে যাওয়া বা রঙের বদল ঘটতে পারে।
জলের ঘাটতি অত্যধিক বেড়ে গেলে হৃৎস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকি, কেউ জ্ঞান হারাতেও পারেন।
জলের ঘাটতি মেটানোর উপায়?
সারা দিনে বার বার জল খেতে হবে। ৪-৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১ লিটার জল খাওয়া উচিত। তবে শুধু জল নয়, সঙ্গে তরমুজ, শসা, বেদানা, লেবুর মতো ফলও খেতে বলছেন চিকিৎসকেরা। তরমুজ, শসায় জলের ভাগ বেশি থাকে। সঙ্গে শরীরে যায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ।
চিকিৎসকদের কথায়, শুধু জল খেলেই যে ঘাটতি পূরণ হবে, এমন নয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্লোরাইডেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ধরনের খনিজ শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ভিটামিনের পাশাপাশি হরমোনেরও ভূমিকা রয়েছে।
কোন পানীয়ে ক্ষতি?
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, কার্বোনেটেড পানীয়, যেগুলিতে শিশুদের আগ্রহ বেশি, সেগুলো কিন্তু বাদ দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। শিশুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গিয়ে অনেক সময় মায়েরা বার বার ফলের রস খাওয়ান। এটাও উচিত নয়। বদলে শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে ফলের রসের সঙ্গে পানীয় জল মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
খুদেকে দিন ‘ইনফিউজ়ড ওয়াটার’
সাধারণ জলের বদলে পছন্দের যে কোনও ফল দিয়ে ‘ইনফিউজ়ড ওয়াটার’ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। লেবু, বিভিন্ন ধরনের বেরি, শসা, পুদিনা পাতা জলে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলেই ফলের নির্যাস জলে মিশে যাবে। সেই জলের স্বাদ-গন্ধও বদলে যাবে। জলের ঘাটতি দূর করতে খুদেকে এই ধরনের জল খাওয়ান।