ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান সব সময় প্রয়োজন। শরীরের হরমোনের ঘাটতি মেটাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে হবে। প্রোটিনের সামান্য পরিমাণ ঘাটতিও মারাত্মক কিছু শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সকলেই বলেন নিয়মিত পাতে রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার। কিন্তু অত্যধিক ব্যস্ততা, কাজের চাপে সব সময় ঠিক করে খাওয়াদাওয়ার অবকাশ মেলে না। শরীর যদি সঠিক পরিমাণে প্রোটিন না পায়, তখনই নানা লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। কিছু শারীরিক উপসর্গ জানান দেবে যে, আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব রয়েছে।
নিয়মিত পাতে রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার। ছবিঃ সংগৃহীত।
১) ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। প্রোটিনের অভাব রক্তে শর্করার মাত্রায় স্ফীতি ঘটাতে পারে। ডায়াবিটিসের মাত্রা যদি ওষুধ খেয়েও বশে না থাকে, সে ক্ষেত্রে শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে কি না, তা বুঝতে হবে। ডায়াবেটিকদের জন্য ডাল, রাজমা, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
২) শুধু শরীর সুস্থ রাখতেই নয়, সৌন্দর্য ধরে রাখতেও প্রোটিন প্রয়োজন। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এমনকি, চুল পড়ার সমস্যার পিছনেও থাকতে পারে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব।
৩) প্রোটিন ত্বকের যে কোনও ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। তবে অনেক দিন ধরে কোনও ক্ষত যদি না শুকায়, সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব রয়েছে।
৪) প্রোটিন শরীর ভিতর এবং বাইরে থেকে চনমনে রাখতে সাহায্য করে। কাজে গতি আনে। দীর্ঘ পরিশ্রমেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে দেয় না। কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতি শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব এনে দেয়। তাই অল্পেতেই যদি কাহিল হয়ে পড়েন, তা হলে প্রোটিনের মাত্রা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করা প্রয়োজন।
৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরতি রাখে। এক বার প্রোটিন খেয়ে নিলে দীর্ঘ ক্ষণ খিদে পাওয়ার কথা নয়। সেই জন্য ওজন কমানোর পর্বে পুষ্টিবিদরা প্রোটিন রাখতে বলেন। কিন্তু খাবার খাওয়ার পরেও যদি খিদে পায়, তা হলে বুঝতে হবে শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিয়েছে।