Eating Disorder

অফিস এবং বাড়ি একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে কম খাচ্ছেন না তো? কোন লক্ষণ দেখলে তা বুঝবেন?

অফিস আর বাড়ি একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে অনেকেই খাওয়াদাওয়ার সময় পান না। কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি অনেক কম খাওয়াদাওয়া করছেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২০
Share:

শরীরে পর্যাপ্ত খাবারের অভাব তৈরি হয়েছে কি না, তা নিজে থেকে বোঝা দুষ্কর। প্রতীকী ছবি।

শরীরের যত্ন নিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করাটা জরুরি। এই ব্যস্ততাময় জীবনে অফিস আর বাড়ি একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে অনেকেই খাওয়াদাওয়ার সময় পান না। তা ছাড়া রোগা হতে গিয়ে ডায়েট করার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এক দিকে সময়ের অভাবে পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া হচ্ছে না। অন্য দিকে, আবার ডায়েটের হাতছানি— সব মিলিয়ে শরীরের উপর প্রভাব পড়ছে। পুষ্টির অভাব ঘটছে শরীরে। ওজন কমলেও আগের চনমনে ভাবটা আর ফিরে আসছে না। আসলে শরীরে পর্যাপ্ত খাবারের অভাব তৈরি হয়েছে কি না, তা নিজে থেকে বোঝা দুষ্কর। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন, আপনি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাওয়াদাওয়া করছেন। রইল সেই লক্ষণগুলি।

Advertisement

শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা

সারা দিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়তো দীর্ঘ ক্ষণ খাওয়া হয়নি। বাড়ি ফিরেই কি পাউরুটি, পিৎজ়া, অনেকটা ভাত, রুটি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়? কম খাবার শরীরে গেলে চাঙ্গা থাকা মুশকিল। তাই কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খোঁজে শরীর। কারণ এগুলি খেলে শরীরে বেশ একটা চনমনে ভাব আসে। এই ধরনের খাবার খাওয়ার প্রবণতা যদি খুব বেশি করে দেখা যায়, তা হলে বুঝতে হবে পেট ভরে খাচ্ছেন না।

Advertisement

খিদে না পাওয়া

কম খাওয়ার আরও একটি লক্ষণ খিদে না পাওয়া। শরীরে যখন খাবারের প্রয়োজন হয়, তখন মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় যে খিদে পেয়েছে। এই সঙ্কেত যদি আপনি দীর্ঘ সময়ে অবেহলা করেন, কিছুই না খেলে তা হলে শরীরও একটা সময়ে পর সেই সঙ্কেত দেওয়া বন্ধ করবে। তখন কোনও খিদে পাবে না। তাতে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেবে।

রক্তচাপ কমে যাওয়া

রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, অনেকে সেটাকে ডায়াবিটিস বলে ভুল করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে অনেকেরই খিদের কারণে মাথা ঘুরতে পারে। রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে এমন হতেই পারে। প্রত্যেক দিন যদি আপনি অনেক বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন, তা হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বেই। এতে শরীরে হরমোনের তারতাম্যও হতে পারে।

চুল পড়ে যাওয়া

নানা রকম শারীরিক সমস্যা হলেই চুল পড়তে পারে। কিন্তু যদি ঠিক করে খাওয়াদাওয়া না করেন, আর শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন না যায়, তা হলেও চুল পড়তে পারে। যদি দেখেন যে শরীর অন্য সে রকম কোনও অসুস্থতার লক্ষণ নেই, শুধুই চুল পড়ছে, তা হলে বুঝতে হবে অপুষ্টির জন্যই এমন হচ্ছে।

কোষ্ঠকাঠিন্য

অনেক সময় নানা রকম ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। কিংবা অজান্তেই হয়তো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম হচ্ছে। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement