ওজন বৃদ্ধির লক্ষণগুলি। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে একটু সচেতন না থাকলে ওজন বাড়ে। শীতের শুরু বিয়ের সানাইয়ের শব্দ দিয়ে। গোটা শীতকাল জুড়ে বিয়েবাড়ি চলতেই থাকে। সেই সঙ্গে পিকনিক, পার্টি তো আছেই। বাঙালির উদ্যাপন মানে খাওয়াদাওয়া থাকবেই। ভোজনরসিক বাঙালি সামনে বাহারি খাবার দেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার ফলেই নিঃশব্দে বাড়তে থাকে ওজন। কিন্তু ওজন যে বাড়ছে, সব সময়ে তা বোঝা যায় না। যখন টনক নড়ে, তত ক্ষণে খানিকটা দেরি হয়ে যায়। পোশাক ছোট হয়ে যাওয়া কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার একমাত্র লক্ষণ নয়। আরও কিছু অজানা লক্ষণ আছে, যেগুলি দেখলে বোঝা যাবে দেহের ওজন বাড়ছে।
পা ফুলে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ হল পা ফোলা। আসলে অত্যধিক ওজন পায়ের স্নায়ুতন্ত্রের উপর চাপ দেয়। ওজন বেশি হওয়ার কারণে স্নায়ুগুলি সঠিক ভাবে রক্ত বহন করতে পারে না। ফলে পা ফুলে যায়। এ ছা়ড়াও, ওজন বেড়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হল ভেরিকোজ শিরা। এই ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়লে ওজন নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।
ক্লান্তি
সারা ক্ষণ ক্লান্ত ভাব? এমনকি, ছুটির দিনেও? তা হলে ওজনটা এক বার মেপে নেওয়া জরুরি। কারণ, ওজন বাড়লেও অনেক সময়ে অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। সারা রাত ঘুমিয়েও সকালে ক্লান্ত লাগলে অনেক সময়ে তা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ক্লান্তি কাটানোর আগে কেন দুর্বল লাগছে, তার কারণ খোঁজা জরুরি।
সিঁড়ি দিয়ে দু’পা উঠলেই হাঁপাতে শুরু করেন? ছবি: সংগৃহীত।
শ্বাসকষ্ট
সিঁড়ি দিয়ে দু’পা উঠলেই হাঁপাতে শুরু করেন। আবার একটু দৌড়ে গিয়ে বাস কিংবা মেট্রো ধরলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। এই লক্ষণগুলির অন্যতম কারণ হতে পারে ওজন বৃদ্ধি। ওজন বাড়লে অনেক সময়ে হাঁটলেও কষ্ট হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
ওজন বাড়লে হরমোনজনিত সমস্যা লেগেই থাকে। অনেক সময়ে ঋতুচক্রেরও ব্যাঘাত ঘটে এর ফলে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে হতে পারে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সূত্রপাত ঘটতে পারে ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও।