ত্বকেই ফুটে ওঠে ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান হল ভিটামিন ডি। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে হাড়ের যত্ন নেওয়া— সবেতেই ভিটামিন ডি-এর জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসকেরাও তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলেন। তবে শুধু যে খাবার যে ভিটামিন ডি-এর সমৃদ্ধ উৎস, তা নয়। সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু শীতে যে হেতু সূর্যের আলো কম সময়ের জন্য থাকে, তাই ভিটামিন ডি কম শোষণ করে শরীর। তখন এই ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে ত্বকে। সেগুলি কী?
অত্যধিক চুল পড়া
ভিটামিন ডি-র সঙ্গে ‘কেরাটিনোসাইস’-এর সরাসরি যোগ আছে। এই উপাদান চুলের বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে। শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই চুল ঝরতে শুরু করে। কোনও কারণ ছাড়াই অত্যধিক চুল পড়তে শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে এক বার ভেবে দেখা জরুরি।
কপালে ঘাম হওয়া
কায়িক পরিশ্রম করলে কিংবা দৌড়ঝাঁপ করলে অনেক সময় বেশি ঘাম হয়। ঘামে ভিজে যায় শরীর। পরিশ্রম ছাড়াই অনেক সময়ে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। এই কপাল ঘেমে যাওয়ার লক্ষণের মধ্যে লুকিয়ে আছে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।
ভিটামিন ডি-এর অভাব ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায়
ভিটামিন ডি-এর অভাব ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, জল কম খাওয়া, বাইরের খাবার বেশি করে খাওয়া— ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে। তবে এগুলি ছাড়াও শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব ঘটলেও এমন হতে পারে।
এগ্জ়িমার সমস্যা
শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে আর যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তা হল এগ্জ়িমা। এই ভিটামিনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বকে কোনও জীবাণু হানা দিতে পারে না। ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে থাকলে এগ্জ়িমার ঝুঁকি থাকে না।