কিডনির সমস্যা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত
জল কম খান? এর থেকেই হতে পারে কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। কিডনির সমস্যা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধের ব্যবহার কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যা আপনার মূত্রনালীর যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হলে— তা কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। এ রকম সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে।
আর কী কী লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্কতা নিতে হবে?
১) কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিকে এবং পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করবেন না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতীকী ছবি
২) তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্যথা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না।
৩) কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা দেয়, তা হলে তা আরও চিন্তার।
৪) কিছু খেলেই বমি বমিভাব, মাথা ঘোরানো— কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে।
৫) জ্বর হলেই ইদানীং করোনা সংক্রমণের চিন্তা প্রথমে মাথায় আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে।