অত্যধিক আনারস কিন্তু শরীরের পক্ষে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ শহর থেকে শহরতলি। প্রবল দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। যত দিন গড়াচ্ছে, গ্রীষ্মের দাপট যেন বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রা কমার কোনও নামগন্ধ নেই। বরং বেড়েই চলেছে। হাওয়া অফিসও জানাচ্ছে, এখনই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। বাইরে তাপপ্রবাহ চলছে বলে ঘরে বসে থাকারও জো নেই। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। চিকিৎসকরা এই দাবদাহে সুস্থ থাকতে বেশি করে ফল খাওয়ার কথা বলছেন। তাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আনারস। জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এমনিতে আনারস দারুণ উপকারী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজs সমৃদ্ধ আনারস এমনিতে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অত্যধিক আনারস কিন্তু শরীরের পক্ষে বিপদ ডেকে আনতে পারে। গরমে স্বস্তি পেতে বেশি আনারস খেলে কী ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন?
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া
আনারসে গ্লুকোজের পরিমাণ তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফলে ঘন ঘন আনারস খেলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবিটিস থাকলে এই ফলটি এড়িয়ে চলার কথা বলেন থাকেন পুষ্টিবিদ। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ারও একটা ঝুঁকি থাকে এতে। কারণ আধ কাপ আনারসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ১৫ গ্রাম।
রক্ত পাতলা করে
আনারসে ব্রোমেলেইন নামে এক ধরনের এনজাইম থাকে। যা এমনিতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু শরীরের যদি ব্রোমেলেইনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়, তা হলে সমস্যা। এই ধরনের উৎসেচক রক্ত পাতলা করে দেয়। রক্তপাতের আশঙ্কাও থাকে এর ফলে।
দাঁতের ক্ষয়
আনারস দাঁতের ক্ষতি করে। অত্যধিক পরিমাণে আনারস খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে। আনারসে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। ফলে দাঁতের সংস্পর্শে এসে দাঁতের ক্ষয় করে। জিঞ্জিভাইটিসের মতো সমস্যাও দেখা দেয় এর ফলে।
পেটের গোলমাল
আনারসের কারণে পেটের গোলমালও দেখা দিতে পারে। আনারসে থাকা অ্যাসি় উপাদান অনেক সময়ে হজম হতে চায় না। হজম না হওয়ার ফলে গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তবে খাবার খাওয়ার পর আনারস খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু খালি পেটে কখনও আনারস খাওয়া ঠিক নয়।