পিসিওস থাকলে কি সত্যিই ভাত খাওয়া ঠিক নয়? ছবি: সংগৃহীত
সারা আলি খান, সোনম কপূর, শ্রুতি হাসান— বলিউডের অনেক তারকাই পিসিওএসের সমস্যায় ভুগছেন। একটি সাক্ষাৎকারে, সারা নিজে জানিয়েছেন, একটা সময় সারার ওজন ছিল ৯৬ কেজি। অনেক কষ্টে তা কমিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা বিশ্বে একজন ভারতীয় নারী এই অসুখে ভুগছেন।
পিসিওএস থাকলে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে ভাত। পিসিওস থাকলে কি সত্যিই ভাত খাওয়া ঠিক নয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, এমন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ভাত খেলে সমস্যা নেই। তবে পরিমাণটা যেন অল্প হয়। সারা দিনে এক বারের বেশি না খাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে দু’বার। তবে কোনও দিন যদি দু’বার ভাত খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে পরিমাণটা যেন খুবই অল্প হয়। শুধু ভাত নয়, সঙ্গে কী খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু জরুরি। ভাত অল্প, কিন্তু শাকসব্জির পরিমাণ যেন বেশি হয়। শাকসব্জির পাশাপাশি প্রোটিনযু্ক্ত খাবার খান। ডাল, টক দই, স্যালাড রাখুন রোজের পাতে।
সারা বিশ্বে একজন ভারতীয় নারী এই অসুখে ভুগছেন। প্রতীকী ছবি।
পিসিওএস রোগে সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বিপজ্জনক। সে কথা মাথায় রেখেই অনেকে ভাত খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাত খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে ভাত রান্নার সময়ে দু’টি টোটকা মেনে চললেই হবে।
১) ভাতে ফ্যান থাকলে চলবে না। ফ্যানে প্রচুর স্টার্চ থাকে। এই স্টার্চ শরীরে আরও অনেক বাড়তি রোগের জন্ম দেয়। পিসিওএস থাকলে এমনিতেই ওজন বেড়ে যায়। ভাতের ফ্যান আরও বেশি বিপদ ডেকে আনতে পারে। সুস্থ থাকতে তাই ভাত হওয়া চাই ঝরঝরে।
২) ভাত রান্নার সময়ে এক চা চামচ নারকেল তেল বা ঘি ফেলে দিন। তাতে বিপাকহার বাড়ে। হজমশক্তিও উন্নত হয়। ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তেমন থাকে না।