দুধ খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে ত্বকের জেল্লা বাড়ানো— দুধ সবেতেই ছক্কা হাঁকায়। দুধের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে কোনও সন্দেহে প্রকাশের জায়গা নেই। কিন্তু দুধ খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। রোগা হতে চাইছেন এমন অনেকেই ডায়েটে দুধ রাখতে চান না। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-র মতো দুধে উপকারী গুণ থাকার পাশাপাশি এতে ফ্যাটও রয়েছে। ফলে দুধ খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে ভেবে অনেকেই দুধ এড়িয়ে চলেন। নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর দুধ কি সত্যিই ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে? অনেকের মনেই ঘুরপাক খায় এই প্রশ্নটি।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরি— দুধে দু’টি জিনিসই যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এক কাপ দুধে ক্যালোরির পরিমাণ ১৫২। ফ্যাটের পরিমাণ সেখানে ৫ গ্রাম। এত ক্যালোরি ওজন বাড়িয়ে দেয় বলেই এর বদনাম। সে জন্য অনেকেই তা থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাকি সব উপাদানগুলির মতো অল্প পরিমাণ ক্যালোরি এবং ফ্যাটেরও প্রয়োজন রয়েছে। ফলে দুধ খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে, এই ধারণা ঠিক নয়।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। ছবি: সংগৃহীত
কিন্তু দুগ্ধজাত কোনও খাবার কি ওজন কমানোর পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে না। বরং রোগা হওয়ার ডায়েটে দুধ থাকলে ওজন কমার পাশাপাশি শরীরের আরও অনেক সমস্যা দূর হয়। দুধ ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখে শরীর। বাড়তি চনমনে ভাব থাকে। দুধ খেলে নিত্যদিনের কাজেও গতি আসে। রোগা হবেন বলে অনেকেই নিয়ম করে টক দই খান। দই খেলে যদি ওজন না বাড়ে, স্বাভাবিক ভাবে দুধ খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। রোগ প্রতিরোধ শক্তি এবং বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে দুধ। এক কাপে দুধে প্রোটিন থাকে ৮ গ্রাম মতো। তাই দুধ খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
দুধ শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে না, সেই সঙ্গে স্থূলতা, হৃদ্রোগ এমনকি, টাইপ টু ডায়াবিটিসেরও ঝুঁকি কমায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পিসিওডি, থাইরয়েডের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজ দুধ খেতে পারেন।