গরমে কি ডিম এড়িয়ে চলা উচিত? ছবি: সংগৃহীত
পুষ্টির দিকে তাকালে, একটি ডিমে মোটামুটি ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। এ ছাড়াও ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-এর একটি বড় উৎস। কিন্তু অনেকেই ভাবেন, ডিম খেলে গরম হয় শরীর। তাই গরমকালে নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত নয়। কতটা সত্যি এই ধারণা? গ্রীষ্মে কি ডিম খাওয়া উচিত? কী বলছে বিজ্ঞান?
পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন, মোটেও ঠিক নয় এই ধারণা। কোনও খাবারে কত ক্যালোরি রয়েছে আর তা বিপাকে কতটা সময় লাগছে তার উপর ভিত্তি করেই মূলত ঠান্ডা-গরমের ধারণাটি তৈরি। তবে এই ধারণার উপর ভিত্তি করে ডিম খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং একাধিক দিক থেকে ডিম শরীরকে গরমের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।
১। গরমকালে প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণ দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। এই খনিজ লবণের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করতে পারে ডিম।
২। একটি ডিমে ক্যালোরির পরিমাণ ৭৫। ফলে গরমে ক্লান্ত লাগলে তা কমাতে কাজে আসতে পারে ডিম।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
৩। ডিমে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন থাকে। এই লাইপোপ্রোটিন দেহে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ফলে ভাল থাকে সংবহনতন্ত্র।
তবে মনে রাখবেন, সকলের শরীর সমান নয়। কাজেই কোনও অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে বা পুষ্টি সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকতে পারে। বা কারও হজমশক্তি দুর্বল থাকলেও ডিম খেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই ডিম খেয়ে কোনও রকম অসুবিধা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।