সিফিলিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে ভ্রূণেরও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
বন্ধ্যত্ব এখন আর দুর্ঘটনা নয়, বরং ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে জীবনযাত্রায় অনিয়ম। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক চাপ— এ সবের প্রকোপেই এই সমস্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানেন কি, কিছু কিছু যৌনরোগ বন্ধ্যত্বের আশঙ্কাও বাড়াতে পারে? সিফিলিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে ভ্রূণেরও ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন যৌনরোগ এ ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে জেনে নিন।
ক্ল্যামিডিয়া
ব্যাক্টেরিয়াজনিত এই যৌনরোগে ছেলে-মেয়ে উভয়ই আক্রান্ত হন। বেশির ভাগ মেয়েদের কৌশরেই এই রোগ হয় এবং উপসর্গহীন হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্রোণি অংশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যার ফলে মেয়েদের সন্তানধারণে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্ল্যামি়ডিয়া রোগ সন্তানের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
গনোরিয়া
এই যৌনরোগের ক্ষেত্রে তেমন কোনও রকম উপসর্গ দেখা দেয় না। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় ‘স্পটিং’ (খুব সামান্য রক্তক্ষয়) দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাভাব এবং খুব বেশি ‘ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ’ হতে পারে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই রোগ জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ন টিউবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সন্তানধারণের সময় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
হার্পিস
হার্পিসে আক্রান্ত হলে সাধারণত যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি, ফোলাভাব এবং ব্যথা দেখা যায়। যৌন সংযোগে এই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে সারানো না গেলেও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পরে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই রোগের ফলে পুরুষদের শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে। তাই পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে সন্তানের জন্মের সময়ে এই রোগ সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।