ব্যস্ততার চোটে মস্তিষ্কের ক্ষতি হচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
অলস মস্তিষ্ক যেন শয়তানের বাসা না হয়, তাই সবসময়ে নিজেকে কাজে নিয়োজিত রাখতে ভালবাসেন। অফিসের কাজ সামাল দিতে-না-দিতেই বাড়ির কাজ সারার কথা মনে হয়। বাড়ির কাজ শেষ করে বিছানায় পিঠ ঠেকাতে গিয়ে আবার পরের দিনের পরিকল্পনা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। নিজের কথা ভাবার এতটুকু ফুরসত নেই! একটা ছুটির দিন কার্যত বিশ্রাম নেওয়ার কথা। কিন্তু চুপ করে বসে থাকতে গেলেও, মন খচখচ করতে থাকে। নির্দিষ্ট কোনও একটি কাজ করতে গেলেই মনে হয় অন্যটি করলে ভাল হত। কত কিছু করার ছিল, হল না। মনোবিদেরা বলছেন, ব্যস্ত থাকা ভাল। তবে, মাথায় সারাক্ষণ কাজের চিন্তা ঘুরতে থাকা আসলে ‘টাইম ফ্যামিন’।
‘টাইম ফ্যামিন’ কী?
ব্যস্ততা রয়েছে, কিন্তু কোনও কাজই সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। আবার, কোনও কাজ শুরু হলেও তা সুষ্ঠুভাবে শেষ করা যাচ্ছে না। এ দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মতো সময়ও নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পিছনে এমন পরিস্থিতি একাই একশো। তবে, চাইলে জটিল এই পরিস্থিতিও সামলে ওঠা যায়। তার জন্য কী কী পরিবর্তন আনতে হবে?
১) সময় বেঁধে ফেলুন:
শুধু ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে সারাক্ষণই কোনও না কোনও কাজ করেই চলেছেন। নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। শুনতে ভাল লাগলেও মাথার জন্য এই অভ্যাস ভাল নয়। মনোরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, একঘেয়ে কাজ করতে কারও ভাল লাগে না। কাজের মাঝে-মাঝে তাই বিরতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাতে যেমন শরীরের ভাল হয়, তেমন কাজের মানও উন্নত হয়। ঘরে-বাইরে নানা রকম কাজ থাকে। সেগুলি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে গেলে সময় ভাগ করে নেওয়াও জরুরি।
২) উদ্যাপন করতে শিখুন:
যত ব্যস্ততাই থাক, তার মাঝে যেটুকু সময় পাওয়া যায়, সেই সময়টুকু চুটিয়ে মজা করতে শিখুন। দু’-তিন দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। একেবারেই সময় না থাকলে অফিস ছুটির পর সিনেমা দেখতে কিংবা কোথাও খেতে যেতে পারেন। অফিসের কাজ থেকে ছুটি পেয়ে কোমর বেঁধে বাড়ির কাজ সারতে গেলে কিন্তু হবে না।
অফিস ছুটির পর সিনেমা দেখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) নিজের জন্য খরচ করুন:
কোনও একটা দিন অতিরিক্ত সময় কাজ করলে পরের দিন নিজেকে উপহার দিন। তা খুব দামি কিছু না-ও হতে পারে। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেতে পারেন। একটা দিন বাস-ট্রেনের টিকিট না কেটে, ট্যাক্সি বা অ্যাপক্যাবের জন্য খরচ করতে পারেন।