শরীরচর্চার পরে কী কী খাবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শরীরচর্চার আগে ও পরে কী কী খাওয়া জরুরি, সে নিয়ে অনেক রকম মতই আছে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, জিমে গিয়ে নিয়মিত ঘাম ঝরালে অথবা বাড়িতে ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়োর মতো ব্যায়াম করলে, তার পরে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। এতে পেশির শক্তি বাড়ে। শরীরচর্চার পরে এমনিতেও ক্লান্তি ভাব আসে। প্রোটিন খেলে সেই ক্লান্তি দূর হয়।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, শরীরচর্চার আগে হালকা কিছু খেয়ে বা খালি পেটেও ব্যায়াম করতে পারেন। তবে কী ধরনের ব্যায়াম করছেন সেই বুঝে ডায়েট ঠিক হবে। তবে শরীরচর্চার পরে সুষম খাবার খেতেই হবে। ওই সময়ে পেশির পুষ্টির জন্য প্রোটিন খাওয়া খুব জরুরি। আগে ডিটক্স পানীয় খেয়ে নিতে হবে। এক গ্লাস জলে দারুচিনি, কাঁচা হলুদ, গোটা জিরে অথবা আপেল, শসার টুকরো ভিজিয়ে রেখে, সেই জল অল্প অল্প করে খেতে হবে। এর পর ৪৫ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে ভারী কিছু খেতেই হবে। শরীরচর্চার পরে অনেকেই পেট ফাঁকা রাখেন। কিন্তু তাতে পেশির ক্লান্তি আরও বাড়ে। পেশিতে টান ধরে যেতে পারে।
শরীরচর্চার পরে কী কী খাবেন?
১) ব্যায়াম করলে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন শরীরচর্চার পরে কিছুক্ষণ অন্তর জল খেতে হবে। এরই সঙ্গে চাই পুষ্টিকর খাবার।
২) বাড়িতে দই বা দুধ যা-ই থাকুক, তার সঙ্গে পছন্দের কিছু ফল মিশিয়ে নেওয়া যায়। দুধের সঙ্গে আপেল, কলা, আমের মতো যে কোনও ফল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
৩) ঘরে পাতা দই হলে খুব ভাল। এক কাপ মতো দই থেকে প্রায় ২৫ গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যাবে।
৪) ডিম খাওয়াও জরুরি। অন্তত একটি করে ডিম সেদ্ধ কিংবা পোচ করে খেতে হবে শরীরচর্চার পরে। সঙ্গে এক পিসবা দু’পিস পাউরুটি খেতে পারলে কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তাও মিটবে।
৫)নিরামিষ খান যাঁরা, তাঁদের জন্য সয়াবিন খুব উপকারী। এক কাপের মতো সয়াবিন থেকে অন্তত ২৯ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে।
৬) বাদামের জুড়ি মেলা ভার। আখরোট, কাঠবাদামের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন। এই বাদামগুলিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
তবে শরীরচর্চা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারী কিছু না খাওয়াই ভাল। শরীর চাঙ্গা রাখতে ব্যায়াম করার আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে খাবার খেতে হবে। প্রত্যেকের শরীর আলাদা, শরীরচর্চার ধরনও আলাদা, এর পাশাপাশি শরীরভেদে পুষ্টিগুণের চাহিদাও ভিন্ন। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতোই খাওয়া উচিত।