শরীরচর্চা করলে হজমের গোলমালও কমবে। প্রতীকী ছবি।
বাঙালির বারো মাসে হাজার পার্বণ। দুর্গাপুজোর পরেই একে একে পালা আরও অনেক উৎসবের। আনন্দ-উদ্যাপনের মাঝে সুস্থ থাকাটা জরুরি। সেটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। উৎসব মানেই অনিয়ম। বাইরের খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা থেকেই যায় এসময়। ঘুমের পরিমাণও ঠিক থাকে না। অনেকেই পুজোর সময় তিন-চার ঘণ্টার বেশি ঘুমান না। এমন ধকল কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। সুস্থ থাকতে একটা পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর যদি শরীরচর্চার অভ্যাস না-ও থাকে, এই কয়েকটি দিন অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করাটা কিন্তু জরুরি। এতে শুধু যে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাই নয়, হজমের গোলমালও কমবে। শুধু জানতে হবে কোন ব্যায়ামগুলি করবেন।
ভুজঙ্গাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে কোনও সমতল জায়গায় পিছন দিকে হাঁটু মুড়ে বসুন। এ বার হাঁটু দু’টি একে অপরের সঙ্গে জুড়ে পায়ের গোড়ালির উপর বসুন। দু’হাতের তালু হাঁটুর উপরে সোজা করে রাখুন। পুরো শরীর টানটান রেখে তিন-চার মিনিট এই অবস্থায় বসুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। কিছু ক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: সংগৃহীত
পবনমুক্তাসন
প্রথমে সোজা হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে এনে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরুন। হাঁটু বুক ও পেটের সংস্পর্শে থাকবে। এ ভাবে কিছু ক্ষণ থাকার পর ডান হাঁটু ধীরে ধীরে নামিয়ে বাঁ হাঁটু বুকের কাছে একই ভাবে তুলে আনুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এ অবস্থায় কিছু ক্ষণ থাকার পর বাঁদিকের হাঁটু নামিয়ে নিন। প্রতি দিন নিয়ম করে চার-পাঁচ মিনিট এই অনুশীলনটি করলে হজমের সমস্যা দূর হবে।