পুরুষদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যা বন্ধ্যত্ব ডেকে আনতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে ভারতে স্থূলতার শিকার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ। গোটা বিশ্বে স্থূলতাই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। শারীরিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সমস্যা বন্ধ্যত্ব ডেকে আনতে পারে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই একটি তথ্য। গবেষণা বলছে, মেদহীন ঝরঝরে থাকলে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ব়ৃদ্ধি পায় ৪০ শতাংশ।
স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত এক বছরে আমেরিকায় জন্মহারের সংখ্যা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকা স্থূলতার সমস্যায় অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত এক বছরে আমেরিকায় জন্মহারের সংখ্যা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। কেউ কেউ ওজন কমিয়ে রোগা হওয়ার পর শুক্রাণুর ঘনত্ব এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বন্ধ্যত্ব, শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস— এই সবগুলির অন্যতম নেপথ্য কারণ হিসাবে স্থূলতাকেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চার না করার প্রবণতার মতো কিছু কারণে পুরুষদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। বিশেষ়জ্ঞরা বলছেন, বন্ধ্যত্ব ছাড়াও অতিরিক্ত ওজন ডায়াবিটিস,কোলেস্টেরলে, উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।