৩ কারণ: রাত হোক বা দিন, ঘুমোনোর সময়ে সঙ্গে রাখুন আদরের পোষ্যকে, তাতে লাভ আপনারই

নিজেকে নানা কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যকে নিয়ে ঘুমোলেও একই রকম কাজ হবে। পোষ্যের দেহের উষ্ণতা অনেক ক্ষেত্রেই অহেতুক ভয়, আতঙ্ক কাটিয়ে দিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৫
Share:

পোষ্যের দেহের উষ্ণতা অহেতুক ভয়, আতঙ্ক কাটিয়ে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির একমাত্র ছেলে চাকরি পেয়ে বিদেশে চলে গিয়েছে। তার পর থেকেই রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। বিদেশ-বিভূঁইয়ে একা থাকার চিন্তা যত না হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি নাড়া দিচ্ছে একা হয়ে যাওয়ার ভয়। দিনের আলো যত ক্ষণ থাকে তত ক্ষণ নানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন। কিন্তু রাতে এই সমস্যা আরও বাড়ে। তবে মনোবিদেরা বলছেন, বাড়িতে যদি পোষ্য থাকে এই ধরনের সমস্যা কিন্তু কেটে যায়। নিজেকে নানা কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যকে নিয়ে ঘুমোলেও একই রকম কাজ হবে। পোষ্যের দেহের উষ্ণতা অনেক ক্ষেত্রেই অহেতুক ভয়, আতঙ্ক কাটিয়ে দিতে পারে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন রিসার্চ-এর দেওয়া তথ্য বলছে, অ্যালার্জি এবং পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখেও রাতে পোষ্যের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমোন প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ।

Advertisement

পোষ্যকে জড়িয়ে ঘুমোলে কী ধরনের সমস্যা দূর হয়?

১) অবসাদ কাটায়

Advertisement

প্রিয়জনের মনখারাপ হলে সবচেয়ে আগে বুঝতে পারে পোষ্যেরাই। পোষ্য কুকুরের সান্নিধ্য পেলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় তার প্রমাণ মিলেছে। এই ‘অক্সিটোসিন’ই হ্যাপি হরমোন নামে পরিচিত। অবসাদ কাটাতে পোষ্যদের সঙ্গ থেরাপির মতো কাজ করে।

২) নিরাপত্তার অভাব বোধ হয় না

যাঁরা বাড়িতে একা থাকেন বা রাতে একা ঘুমোন। রাতের পর রাত দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। পোষ্যেরা কিন্তু কখনও সেই অভাব বোধ করতে দেয় না।

৩) একাকিত্বে ভুগতে দেয় না

ছেলেমেয়েরা বাইরে পড়তে গেলে বা কর্মসূত্রে শহরের বাইরে থাকলে অভিভাবকেরা ভীষণ একা হয়ে পড়েন। পরিস্থিতির কারণেই অনেক সময়ে তাঁদের অবসাদ, উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বাড়িতে পোষ্য থাকলে কিন্তু এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement