পেটের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ? ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য পোশাক পরে তৈরি, কিন্তু যেই না বেরোতে যাবেন অমনি পেট গুড়গুড়! ব্যাস, দৌড়াতে হল সেতখানায়। এই সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। অনেক সময় দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভোগা মানুষদের মধ্যে অকস্মাৎ মলত্যাগের প্রবণতা দেখা যায়।
কেন হয় এমন?
বিজ্ঞান বলছে, দেহের সব অঙ্গই বিভিন্ন স্নায়ুদ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। খাদ্যনালিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই পেটে কোনও সমস্যা দেখা দিলে যেমন সঙ্কেত পায় মস্তিষ্ক, তেমনই মস্তিষ্কের অসুবিধাও অনেক সময় প্রকাশ পায় পেটখারাপের মধ্য দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা খুব একটা গুরুতর না হলেও, দীর্ঘ দিন অবহেলা করলে এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ ও আলসারের মতো রোগ।
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম
উদ্বেগ থেকে তৈরি হওয়া গোলযোগের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। উদ্বেগের ফলে অনেক সময় বৃহদন্ত্রের সমস্যা তৈরি হয়। দেখা দিতে পারে বৃহদন্ত্রের পেশিতে টান লাগা, পেটে ব্যথা ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যা। এর ফলে ডায়েরিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ স্থায়ী সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
প্রতীকী ছবি ছবি: সংগৃহীত
ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ
ক্ষুদ্রান্ত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থেকে এই রোগের সৃষ্টি। মানসিক উদ্বেগ থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। দেখা দিতে পারে ক্রোন ডিজিজ। অনেক সময় মানসিক উদ্বেগ থাকলে রোগীরা উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে নেন। এতে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।
পেপটিক আলসার
পাকস্থলীর ভিতর ও ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরি ভাগে ক্ষত তৈরি হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় পেপতিক আলসার বলে। মানসিক উদ্বেগ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দীর্ঘ দিন উপেক্ষা করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।