উত্তেজনার মুহূর্তে হল কেলেঙ্কারি। প্রতীকী ছবি।
মিলনরত অবস্থায় মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজ়ম ফেটে মৃতপ্রায় অবস্থা হয় ৪৭ বছরের বয়সি এক ব্যক্তির। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার জাভাতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমের সময়ে হঠাৎই অচৈতন্য হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। তার পরেই তাঁর বমি শুরু হয়, শরীরের বাঁ দিকটা অবশ হতে শুরু করে।
তাঁকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, তাঁর ‘সেরিব্রাল অ্যানুরিজ়ম’ বা ‘ব্রেন অ্যানুরিজ়ম’ হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে মস্তিষ্কের কোনও কোনও রক্তবাহ বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ফুলে ওঠা অংশটি গাছ থেকে ঝোলা ফলের মতোও দেখতে লাগতে পারে। এই বেলুনের মতো অংশটি ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা তৈরি হয়। ফলে হতে পারে স্ট্রোকও। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রক্তক্ষরণ ঘটে মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখা কলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। এই ধরনের রক্তক্ষরণকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সাব অ্যারাকনয়েড হেমারেজ’।
দীর্ঘ দিন হাসপাতালে নানা পরীক্ষার পর অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। চিকিৎসকদের মতে আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি, তবে বিপদ এখনও কাটেনি।
এই রোগের উপসর্গ কী?
এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে এক চোখের পিছনের দিকে ব্যথা, প্রসারিত চোখের মণি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কিংবা মুখের এক দিক অসাড় লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেলুনের মতো অংশটি না ফাটলে এই রোগে কোনও রকম উপসর্গ না-ও দেখা দিতে পারে। কিন্তু যদি বেলুনের মতো অংশটি ফেটে যায়, তবে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
এই রোগ কেন হয়?
এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট কারণ চিকিৎসকরা ধরতে না পারলেও মূলত বার্ধক্য, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি, জন্মের সময়ে সদ্যোজাতের বিশেষ কিছু রোগ থাকলে ভবিষ্যতে এই এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছনোর আশঙ্কা থেকে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।