পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত (বাঁ দিকে)। প্রতীকী চিত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত
ফোন হাতে থাকলেই অনলাইনে হরেক কায়দার জামাকাপড় দেখেন। কেনার জন্য হাত নিশপিশ করে অনিশার। তবে কেনার আগেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? সম্প্রতি ওজন কমানোর টোটকা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত। ওজন ঝরানোর জন্য জীবনশৈলীতে তিনটি বদল আনতে হবে। কোন তিন বদলের কথা বলেছেন তিনি?
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় মাসাবা জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর জন্য এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য জীবনশৈলীতে কোন কোন বদল এনেছেন। ভিডিয়ো শেয়ার করে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথমেই খাওয়াদাওয়ায় ভারসাম্য আনতে হবে। আমি বাইরের খাবার এবং পুষ্টিকর বাড়ির খাবারের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি। এ ছাড়া, সপ্তাহে ৬ দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা শুরু করেছি। ঘুম থেকে উঠেই আমি ঘণ্টাখানেক বই পড়ি, জানলা থেকে বাইরের পরিবেশ দেখি, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাই। মোবাইল ছুঁয়েও দেখি না।’’
ফিটনেসবিদদের মতে, দ্রুত ওজন ঝরাতে শরীরচর্চা এবং ডায়েটের সঙ্গে বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১) শুধু ভাত না খেয়ে ডায়েট করলে ওজনে কোনও হেরফের হবে না। সারা দিন ধরে কখন, কী খাচ্ছেন, সবটা নজরে রাখতে হবে। বাড়ির বাইরে গেলেও সঙ্গে খাবার রাখতে পারলে ভাল। কারণ, ওজন ঝরাতে খাবারের থেকেও খাওয়ার সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে না থাকাই ভাল।
২) মেদ ঝরাতে পছন্দের খাবার বাদ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। পছন্দের বিরিয়ানি খেয়েও ওজন ঝরানো যায়। শুধু খাবারের পরিমাণে লাগাম টানতে হবে। বয়স, ওজন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ ঠিক করে দিতে পারেন পুষ্টিবিদেরা।
৩) ডায়েট মেনে খাবার খাচ্ছেন, শরীরচর্চাও করছেন। এ দিকে রাত জেগে সিরিজ়ও দেখছেন। এতে কিন্তু লাভ কিছুই হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওজনে কোনও পরিবর্তন আসবে না। তা ছাড়াও, রাতে জেগে থাকলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তার প্রভাবে বিপাকহারেও পরিবর্তন আসে। বিপাকহার ভাল না হলে ওজন ঝরানো অসম্ভব।
৪) মেদ ঝরাতে গেলে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়লে শরীরে কর্টিঁজ়ল নামক একটি হরমোন ক্ষরণ হয়। এই হরমোনের প্রভাবে শরীরে বাড়তে থাকে মেদ। যন্ত্রনির্ভর জীবন থেকে সামান্য সময় বার করে বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান।