পিত্তাশয়ে কোনও সমস্যা হলে পেটের উপরের অংশের ডান দিকে তীব্র যন্ত্রণা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। শরীরের ওই অংশে কোনও সমস্যা হলে পেটের উপরের অংশের ডান দিকে তীব্র যন্ত্রণা হয়। তবে পিত্তথলিতে ব্যথা মানেই কিন্তু পাথর জমা নয়। যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বা যকৃৎ দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই গলব্লাডারে এসে জমা হয়।
গলব্লাডারে ব্যথা হওয়ার কারণগুলি কী কী?
১) কোলেসিস্টিস: কোলেসিস্টিসের দু’টি ভাগ রয়েছে: ‘অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস’ এবং ‘অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস’। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস ঘটে পিত্তথলিতে পাথর আটকে থাকার ফলে। অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস পিত্তনালিতে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। দু’টি কারণেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়।
২) কোলেডোকোলিথিয়াস: পিত্তনালিতে পাথরের উপস্থিতি ‘কোলেডোকোলিথিয়াস’ নামে পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে বাধা দেয়, ফলে চাপ পড়ে ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
৩) বিলিয়ারি স্লাজ: পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন এবং অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণ হল ‘বিলিয়ারি স্লাজ’। এই পদার্থগুলি জমা হওয়ার ফলে পিত্তথলিতে ব্যথা হতে পারে।
পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর এবং ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
কোন লক্ষণগুলি জানান দেবে যে, গলব্লাডারে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে?
১) পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর এবং ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এ রকম ব্যথা হলে আগে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত।
২) পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, গা গোলানো এবং বমিও হতে পারে।
৩) পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
৪) পিত্তনালিতে বাধা এবং পিত্তথলি থেকে পাথরের স্খলনের ফলে গাঢ় রঙের প্রস্রাব হতে পারে।