চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে সন্তানকে কি কাফ সিরাপ খাওয়ান? ছবি: সংগৃহীত
যে কোনও ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু অধিকাংশ সাধারণ অসুখের ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজেরাই ডাক্তারি করেন মানুষজন। কাশিতে কাফ সিরাপ খাওয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভুল ভাবে কাফ সিরাপ খেলে অজান্তেই হয়ে যেতে পারে সর্বনাশ। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধের পরিমাপ সঠিক না হলে ঘটতে পারে বড় বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন বয়সি শিশুদের জন্য উপযুক্ত কাশির সিরাপের পরিমাণ নির্দিষ্ট হয়। মূলত শিশুর বয়স ও ওজনের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসকেরা ওষুধের পরিমাণ নিশ্চিত করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একই উপাদানে তৈরি হলেও বিভিন্ন ওষুধে ভিন্ন হয় তীব্রতার মাত্রা। আর এই তীব্রতার মাত্রার সামান্য হেরফেরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন একই ওষুধের মাত্রা আলাদা হয় ২ বছর বা ৬ বছরের শিশুদের জন্য। অনেক ক্ষেত্রে ১২ বছরের কম শিশুদের কাশি দমানোর ওষুধ দিতে সঙ্কোচ বোধ করেন চিকিৎসকরা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
অধিকাংশ ওষুধের তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলেও কিছু কিছু কাফ সিরাপ শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টিশক্তি লোপ, বমি বা মৃগীর মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি দিল্লিতে কাফ সিরাপের সমস্যায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর। তাই চার বছরের বেশি বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়াতে হলে নিজে নিজে ডাক্তারি নৈব নৈব চ।