রক্তদানের আগে কোন নিয়ম না মানলে বিপদে পড়বেন? ছবি: সংগৃহীত।
এখনও রক্তদান নিয়ে নানা মানুষের মধ্যে নানান রকমের সংশয়। রক্ত দেওয়ার আগে বহু মানুষ ভাবনায় পড়ে যান, আদৌ কাজটা ঠিক হচ্ছে তো? সাধারণত, এক জনের দেহ থেকে এক বারে এক ইউনিট (প্রায় ৪৫০ মিলিলিটার) রক্ত নেওয়া হয়। এই রক্তদাতার দেহে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেই পরিমাণ রক্ত পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে দাতার কোনও ক্ষতিও হয় না। তবে, ইচ্ছে থাকলেই যে সবাই রক্ত দিতে পারবেন, তা নয়। রক্তদান করতে যাওয়ার আগে জেনে নিন, নিয়মকানুন।
১. কোন রোগ থাকলে: দাতার কোনও রক্ত দ্বারা বাহিত অসুখ থাকলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন না। এ ছাড়া, এডস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ থাকলেও রক্তদান করা যায় না।। যাঁদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাঁদেরও। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ১২.৫-এর নীচে হয়, তা হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। আপনার হৃৎস্পন্দনের হার যদি ৫০-এর কম ও ১০০-র বেশি হয়, তা হলেও রক্ত নেওয়া হয় না। হাঁপানি, টিবি বা কোনও ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও রক্তদান করা যায় না।
২. বয়স ও ওজন: ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তবেই তিনি রক্ত দিতে পারবেন। দাতার শরীরের ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি না হলে রক্ত দেওয়া বারণ। জ্বর হলে রক্ত দেওয়া যাবে না।
৩. পিয়ার্সিং ও ট্যাটু: রক্তদানের আগের ছ’মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করানো হয়, তা হলেও কিন্তু রক্ত দেওয়া যায় না। রক্তদান করার আগের ২৪ ঘণ্টায় মদ্যপান করা চলবে না। রক্তদান করার দু’ঘণ্টা আগে ধূমপানও করা চলবে না।
৪. টিকাকরণ: হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছ’মাস রক্তদান করা উচিত নয়। তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার দু’থেকে তিন সপ্তাহ পর রক্তদান করা যেতে পারে।
৫. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়: অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন, এমন কোনও মহিলা রক্তদান করতে পারেন না। এ ছাড়া, গর্ভপাত হওয়ার ছ’মাসের মধ্যেও রক্তদানে নিষেধাজ্ঞা থাকে।