সারা দিন উপোসের পর সাবু খাওয়ার চল রয়েছে এখনও বহু বাড়িতে। জলে লেবুর রস আর চিনি দিয়ে সাবু মেখে খেলে শরীর ঠান্ডাও থাকে। প্রতীকী ছবি।
সারা দিন উপোসের পর সাবু খাওয়ার চল রয়েছে এখনও বহু বাড়িতে। জলে লেবুর রস আর চিনি দিয়ে সাবু মেখে খেলে শরীর ঠান্ডাও থাকে। কলকাতার বাইরে বহু অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে নিয়মিত সাবুর খিচুড়ি খাওয়ার প্রচলনও রয়েছে। যেহেতু সাবুর নিজস্ব তেমন স্বাদ হয় না, তাই তা অনেক কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াও যায়। বিভিন্ন অঞ্চলেই সাবুর কদর রয়েছে আরও একটি কারণে। রান্না করার পরিকল্পনা যে দিন না থাকে, সে সব দিনে সাবু খাওয়া যায়। তাতে অনেকটাই পুষ্টি যায় শরীরে। পেটও ভরে।
সাবু। প্রতীকী ছবি।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এক কাপ সাবুতে ৫৪৪ ক্যালোরি, ১৩৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে। সবে মিলে বেশ ভাল ভাবে কর্মশক্তি জোগাতে সক্ষম সাবু। এমনকি, এতে উপস্থিত ফাইবার খাবার হজম করতেও সাহায্য করে।
এ সবের কারণে অনেকেই ওজন কমানোর সময়ে সাবুর উপর ভরসা করতে চান। হয়তো ভাত, রুটি কম খেয়ে এক বেলা সাবু মাখা খেয়ে নিলেন। কিংবা মাঝেমধ্যে বানিয়ে নিলেন সাবুর খিচুড়ি। ভাবলেন, তাতে শরীর সতেজ থাকবে আবার ওজন বাড়বে না। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, সাবুতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে অনেকটাই। থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাটও।
আর সে কারণেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কাজে লাগে না এই খাদ্য। আরও একটি বিষয় হল, সাবুর নিজের কোনও স্বাদ নেই। ফলে এতে মেশাতে হয় আরও অন্য কোনও জিনিসের সঙ্গে। কিসের সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে কতটা ক্যালোরি প্রবেশ করছে শরীরে। ফলে সাবু খেলে অনেকটা ক্যালোরিও যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।