প্রোটিনের চাহিদাপূরণে পনির কতটা উপযোগী? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের জন্য প্রোটিন জরুরি। আর সেই প্রোটিনের অন্যতম উৎস মাছ, মাংস, ডিম। কিন্তু যাঁরা আমিষ খাবার খান না, তাঁরা কী খাবেন? অনেকেই সেই তালিকার শীর্ষে রাখেন পনির। প্রোটিনের অভাব পূরণে নিয়মিত পনিরের রকমারি পদ বেছে নেন। কিন্তু সত্যিই কি পনির শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সক্ষম?
সমাজমাধ্যমে ফিটনেস নিয়ে নানা রকম পরামর্শ দেন রাজ গণপত। তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পুষ্টিবিদ হিসাবে পরিচিত রাজের কথায়, পনির নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা কিছুটা ভুলই। এতে প্রোটিন থাকলেও ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এতে প্রায় ২৫ শতাংশ ফ্যাট থাকে। প্রোটিনও থাকে প্রায় এরকমই। ফলে যে কারণে কেউ চিজ় খাওয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেই একই কারণ পনিরের ক্ষেত্রেও খাটে। তবে প্রোটিন কম থাকলেও এতে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস এক টুকরো গ্রিল করা মুরগির মাংসের সমানই মেলে। ম্যাক্রোনিউট্রেয়ন্টস বলতে বোঝায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাটকে। এতে রয়েছে রকমারি খনিজ। তাঁর পরামর্শ, কেউ ফ্যাট কম, প্রোটিন বেশি খেতে চাইলে পনির নয়, টোফু অথবা টেম্পে বেছে নিতে পারেন। মেদ ঝরানো লক্ষ্য হলে কম ফ্যাটযুক্ত পনিরও বেছে নিতে পারেন।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রোটিনের চাহিদা পূরণে বিভিন্ন রকমের ডাল, সয়াবিন পাতে রাখতে পারেন। সয়াবিনে থাকে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন। এ ছাড়া রাজমা জাতীয় বিনগুলিও প্রোটিনের ভাল উৎস। প্রকৃতপক্ষে, সব ধরনের বিন সারা দেশেই খাওয়া হয় এবং যে কোনও স্থানীয় বাজার থেকে সহজে পাওয়া যেতে পারে। ডাল প্রত্যেক ভারতীয় হেঁশেলের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর সব রকম ডালেই প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে মুসুর ডালে প্রোটিনের মাত্রা যথেষ্ট। এ ছাড়াও মুগ, ছোলা, অড়হর, বিউলি প্রভৃতি ডালে থাকে আবশ্যক প্রোটিন। কাঠবাদাম, কাজু, পেস্তা, আখরোট প্রভৃতি বাদামেও থাকে বিশেষ প্রোটিন। বাদামে থাকা ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম দেহের জন্য উপকারী। ফলে নিরামিষাশী মানুষজনের রোজকার ডায়েটে যদি অল্প পরিমাণে বাদাম রাখা যায়, তা হলে প্রোটিনের ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না আর।