উচ্চতা কম হলে ওজন কমানো কঠিন। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো সহজ নয়। কড়া ডায়েট আর নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলেই যে ওজন ঝরবে, তার কোনও মানে নেই। বয়স, জীবনযাপনের ধরনের উপরও নির্ভর করে যে, কত দ্রুত আপনার ওজন কমবে। তবে শুধু বয়স নয়, ওজন কমানোর পথে উচ্চতাও কিন্তু একটা বড় বিষয়। গবেষণা জানাচ্ছে, উচ্চতা কম হলে ওজন কমানো কঠিন। তুলনায় লম্বাদের ওজন কমানো সহজ।
উচ্চতা যাঁদের বেশি, তাঁদের পেশির গঠন একটু অন্য রকম হয়। কম উচ্চতার মানুষের তুলনায় লম্বারা পেশিবহুল হয়ে থাকেন। ফলে তাঁদের ‘বডিমাস ইনডেক্স’(বিএমআই) বেশি হয়। সেই কারণে হজমক্ষমতাও বেশি থাকে। ফলে মন দিয়ে শরীরচর্চা করলেই বাড়তি মেদ ঝরে যায়। কিন্তু কম উচ্চতার মানুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সহজ নয়। উচ্চতা কম হলে পেশি খুব পাতলা হয়। ফলে শরীরচর্চা করেও ওজন কমতে চায় না। প্রচণ্ড পরিশ্রম না করলে বেঁটেদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিলের। তবে উচ্চতা খানিক কম বলে যে একেবারেই ওজন কমানো যাবে না, তা-ও নয়। ওজন কমানোর পর্বে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে উচ্চতা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
ক্যালোরি খাওয়া বন্ধ করুন
উচ্চতা কম হলে হজমক্ষমতা কম থাকে। ফলে এমন কিছু না খাওয়াই ভাল, যা সহজে হজম হতে চায় না। ক্যালোরি হজম করা কঠিন। তাই যে সব খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি, সেগুলি এড়িয়ে চলুন। এ ছাড়াও যখন খিদে পাবে, তখন খাবার খান। একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেয়ে নেবেন না।
ওজন তুলুন
কম উচ্চতার মানুষের জন্য ওজন তোলা হল সবচেয়ে কার্যকরী শরীরচর্চা। ওজন তুললে পেশি সবল এবং দৃঢ় হয়। পেশির গঠন মজবুত হলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন
প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই ওজন কমাতে চাইলে বাইরের খাবার খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে কম উচ্চতার মানুষের পক্ষে তা কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই যতটা সম্ভব কম ক্যালোরি খাওয়ার চেষ্টা করুন।