গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত বিয়ার খেলে অন্ত্রে জমে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক
বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা কম থাকে। তাই নানা উৎসব-অনুষ্ঠানে এই পানীয় খাওয়ার চল বেশি। গরমের দিনে তো কথাই নয়। ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিয়েই অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। কিন্তু বিয়ার খাওয়া কি ভাল, না কি মন্দ? বিয়ার খেলে কি সত্যিই শরীরের উন্নতি হয়?
সম্প্রতি পর্তুগালে একটি নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, বিয়ার নাকি অন্ত্রের জন্য উপকারী এবং এর দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রয়েছে। এই গবেষণাটি করেছে দ্য সেন্টার ফর রিসার্চ ইন হেলথ টেকনোলজিস অ্যান্ড সার্ভিসেস নামক সংস্থা। তাদের দাবি, বিয়ার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা গঠনে সাহায্য করে। এই মাইক্রোবায়োটা স্থূলতা, ডায়াবিটিস এবং কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের মতো খুব সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত বিয়ার খেলে অন্ত্রে জমে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিয়ার খেলে শরীরে এক ধরনের উৎসেচক তৈরি হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিয়ারের এই স্বাস্থ্যগুণের সঙ্গে কিন্তু অ্যালকোহলের কোনও সম্পর্ক নেই। গবেষণা অনুযায়ী, অ্যালকোহলযুক্ত বা অ্যালকোহলবিহীন, যে বিয়ারই পান করা হোক না কেন, এতে থাকা বিশেষ যৌগ অন্ত্রে বিচিত্র ধরনের মাইক্রোব্স তৈরি করবে, যা ডায়াবিটিস এবং কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গবেষকদের মতে, রেড ওয়াইনের মতোই বিয়ারে পলিফেনলের উপস্থিতি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ছবি: শাটারস্টক
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বিয়ার খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারিড, শর্করা কিংবা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। গবেষকদের মতে, রেড ওয়াইনের মতোই বিয়ারে পলিফেনলের উপস্থিতি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
বিয়ার খেলে আর কী কী লাভ হয়?
১) কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা কমায় বিয়ার।
২) এতে নানা ধরনের খনিজ পুষ্টির উপাদান থাকে। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন বি-র মাধ্যমে সবই যায় শরীরে।
৩) এই পানীয়তে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে বিয়ার।
৪) বিয়ারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ল্যাক্টোফ্লোভিন আর নিকোটিনিন অ্যাসিড। এই দুইয়ের প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।