আঠেরো মাসের মধ্যেই ২০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলল দেশ।
রবিবার কোভিড টিকাকরণে ২০০ কোটির মাইলফলক পেরোলো ভারত। ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ সালে ভারতে শুরু হয় কোভিডের বিরুদ্ধে প্রথম টিকাকরণ। আঠেরো মাসের মধ্যেই ২০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলল দেশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ৬ অগস্টের মধ্যে ৫০ কোটি টিকাকরণ হয়েছিল দেশে। ১০০ কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছিল ২১ অক্টোবর।
টিকাকরণে ২০০ কোটির মাইলফলক ছোঁয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত আবার ইতিহাস রচনা করল। ২০০ কোটি টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার জন্য এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শামিল সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই প্রচেষ্টা কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে শক্তিশালী করেছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ কমপক্ষে একটি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন এবং ৯০ শতাংশে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে বুস্টার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে আগামী ৭৫ দিন পর্যন্ত বিনামূল্যে দেওয়া হবে বুস্টার টিকা।
এখন পর্যন্ত, ১৮-৫৯ বছর বয়সি ৭৭.১০ কোটি জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম বুস্টার টিকা পেয়েছেন। তাই দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কার আবহে এই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য করোনার দ্বিতীয় টিকা এবং বুস্টার টিকার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্করা দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ছ’মাস পর বুস্টার টিকা নিতে পারবেন। সেই অনুযায়ী, কোউইন অ্যাপেও প্রয়োজনীয় বদল আনা হয়েছে।