খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে ত্বক, চুলের সমস্যা দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ছবি সংগৃহীত
করোনার দৌলতে সম্প্রতি বাড়িতেই বেশির ভাগ সময় কাটছে অনেকের। স্কুল, কলেজ অনলাইন। অফিসের কাজও বাড়ি থেকেই সারছেন অনেকে। বাড়িতে বসেই বেড়ে যাচ্ছে ওজন। তবে ব্যায়াম করতে অনেকেরই অনীহা।
ওজন ঝরাতে কোন খাবার খাবেন, আর কোনটি খাবেন না— সেটিই বড় প্রশ্ন।শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে প্রাতরাশের। অনেকেই নানা কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকখানি সময় খালি পেটে থাকেন। সাবধান, এতে কিন্তু শরীরের মারত্মক ক্ষতি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রাতরাশের ভূমিকা অনেকখানি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ আমরা প্রাতরাশ থেকেই পেয়ে থাকি। এ ছাড়াও বিভিন্ন বড় রোগের ঝুঁকি কমানো এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে প্রাতরাশ।
প্রতীকী ছবি
প্রাতরাশে কী খাচ্ছেন সেটি বেছে নেওয়াও কিন্তু সমান ভাবে জরুরি। এই সময় খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখুন, যাতে পেট ভরা থাকবে অনেক ক্ষণ আর শক্তিও পাবেন বেশি।
শরীরের প্রতিটি কোষে প্রোটিন থাকে। প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে কোষ খাদ্যসংগ্রহ করে। নতুন কোষ গঠনেও প্রোটিনের প্রয়োজন। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকলে ত্বক, চুলের সমস্যা দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সঙ্গে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি লিভারের মতো রোগও শরীরে বাসা বাঁধে।
প্রাতরাশে এই প্রোটিনগুলি রাখতেই পারেন
ডিম
এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পোচ, অমলেট হোক বা সেদ্ধ— যে কোনও ভাবেই খাওয়া যায় ডিম। প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে শরীর।
ওটস
প্রাতরাশের তালিকায় রাখতেই পারেনওটস। টক দই বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ওটস খান। কিংবা সব রকম সব্জি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের খিচুড়িও। ওটসে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। ওজনও বাড়ে না। সব বয়সের সব মানুষ খেতে পারেন ওটস।
অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ
রাতে এক মুঠো ছোলা, মটর, বাদাম, মুগ ভিজিয়ে রাখুন এক বাটি। পরদিন সকালে তা দিয়ে সালাদ বানিয়ে নিন। এই খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর।
দালিয়া
এতে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খাওয়া যেতে পারে দালিয়া।
চিঁড়ে
শীতের সব্জি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন চিঁড়ের পোলাও, যা প্রোটিনেও সমৃদ্ধ আর ঝটপট বানিয়েও ফেলা যায়।